আমার বাড়ির ছোট্ট সবজি বাগান- ডাটা শাকের গল্প
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি এবং শীতের শীতলতায় এখনো নিজের চঞ্চলতা ধরে রাখার চেষ্টা করছি। যদিও শীতের শীতল পরিবেশ দিন দিন বেড়েই চলছে। অবশ্য তার সাথে সাথে সূর্যের হাসিও বেশ ফিকে হয়ে যাচ্ছে, তবুও সকালের ভোরে কিছুটা হলেও সূর্য মামার হাসির অপেক্ষায় থাকি, যদি একটু উষ্ণ পরশে হৃদয়ে জমাট বাধা অনুভূতিগুলো চঞ্চলতা ফিরে পায় সেই আশায়। শৈশবে যেমন ঘুম হতে উঠেই বাড়ির উঠোনে ছুটে যেতাম একটু উষ্ণতা পাবার আশায়, এখন অবশ্য সেই পরিবেশ কিংবা পরিস্থিতি কোনটাই নেই।
কারণ জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে বাড়ির সামনে উঠোন রাখার বিষয়টিও অতীত হয়ে গেছে। অবশ্য আমার বাড়িতে সেই সুযোগটা এখন পর্যন্ত আছে এবং আমিও সেটা দারুনভাবে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। তার সাথে সাথে ছোট একটা সবজির বাগানও গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। আসলে শহরের পরিবেশে হয়তো এটা তেমন একটা সম্ভব না কারণ জায়গার একটা বিষয় আছে এবং তার সাথে সাথে মাটিরও বিষয় আছে। কিন্তু শহর হতে কিছুটা দূরে, একটু গ্রামীন পরিবেশে সেটা অবশ্যই সম্ভব এবং বেশ সুন্দরভাবেই সম্ভব। আর সেটা আমি বেশ ভালো ভাবেই করার চেষ্টা করছি।
ইতিপূর্বে আমি আমার সবজি বাগানের গল্পের দুটি পর্ব শেয়ার করেছি আর আজকে শেয়ার করবো তার তৃতীয় পর্ব। আজকের পর্বে আমি শেয়ার করবো সবজি বাগানের সামনের ছোট অংশটির গল্প। এখানে গত বছর পালন শাক লাগিয়েছিলাম কিন্তু সেটা অনুভুতি খুব একটা সুখকর হয়নি, পালন শাকগুলো একটু বড় হলেই বেশ কঠিনভাবে শুঁয়োপোকার আক্রমন হয়েছিলো, যদিও আমরা এগুলোকে স্থানীয় ভাষায় ছেঙ্গা ডাকতে বেশী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। এরপর আপনাদের ভাবী পালন শাক লাগাতে মোটেও রাজী হয়নি, কারন শুঁয়োপোকার ভয়, হি হি হি।
তারপর অবশ্য পর পর দুইবার ডাটা শাক রোপন করেছিলাম। একবার আমান ডাটার বীজ ফেলেছিলাম এবং সেবার বেশ বড় বড় হয়েছিলো ডাটাগুলো এবং বেশ স্বাদের দেখাও পেয়েছিলাম। এবার অবশ্য ডাটা না শুধুমাত্র শাক খাওয়ার আশায় এগুলো রোপন করেছি। বেশ কিছুটা বড়ও হয়েছে, ইতিমধ্যে কয়েক দিন এগুলোর স্বাদও নিয়েছি। ছোট অবস্থায় শাক যেমন খাওয়া যায় ঠিক তেমনি চিকন চিকন এই ডাটাগুলো দিয়েও তরকারী রান্না করা যায়, সেগুলোও ভীষণ স্বাদের হয়। সুতরাং বুঝতেই পারছেন এক ঢিলে দুই পাখি মারার দারুণ কৌশল এটা, হি হি হি।
যদিও অল্প যাওয়ায় এগুলো রোপন করা হয়েছে এবং মাঝে একটা পেয়ারা গাছও আছে কিন্তু তবুও বেশ দারুণভাবে ডাটা শাকগুলো বেড়ে উঠেছে। হয়তো আরো কিছু দিন এগুলো থাকবে তারপর সব সাবার হয়ে যাবে হি হি হি। দেখুন বাড়ির আশা পাশে একটু খালি জায়গা থাকলেই কিন্তু আমরা সেটাকে দারুনভাবে কাজে লাগাতে পারি। তাছাড়া এমন সবজি চাষে খুব বেশী সময়ও দেয়া লাগে না আমাদের। মাঝে মাঝে আগাছা পরিস্কার করতে হয় আর একটু নিয়ম করে পানি দিতে হয়, ব্যস তাতেই তারা ভীষণ খুশি এবং বেশ সুন্দরভাবে বেড়ে উঠে।
তারিখঃ ডিসেম্বর ০৭, ২০২৪ইং।
লোকেশনঃ সাভার, ঢাকা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
নিজের সাধ্যমতো কিছু না কিছু ফলন করাটা আমারও ভীষণ পছন্দের। শহরের মাঝে তো ওভাবে সম্ভব হয়ে উঠে না। তবে আমার শ্বাশুড়ি নিজেই পেয়াজ- রসুন, হলুদ থেকে শুরু করে নানা ধরনের শাক ফলান। আমার ভীষণ ভালো লাগে গ্রামে গেলে সেসব দেখতে, নিজের হাতে তুলতে। আপনার ডাটা শাক তো অল্প জায়গাতেও বেশ দারুণ হয়েছে ভাই! সাবাড় করার পরেও অন্য কিছুর বীজ ফেলে দিয়েন।
বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে বাড়ির আশেপাশে যতটুকু যা চাষ করা যায় সেটা করাই ভালো। আর নিজের বাড়ির আশেপাশে লাগানো বা রোপন করা সবজি খেতে ভীষণ ভালো লাগে। এক কথায় অরিজিনাল কিছু খেতে হলে নিজে তৈরি করতে হবে। এখনই মোটামুটি ডাটা শাকগুলো খাওয়ার উপযুক্ত প্রায় হয়ে গেছে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
আপনার সবজি বাগান দেখে খুবই ভালো লাগছে দাদা। আমার দেশের বাড়িতেও এরকম অনেক সবজি হয়। অবশ্য ওই বাড়ির উঠোনটা অনেক বড়, ফল তো জায়গা অনেকটা পাওয়া যায়। আর নদীর ধারে যেহেতু আমাদের বাড়িতে তাই মাটি ভালো হওয়ার কারণে খুব একটা কিছু খাটনি হয় না। যেকোনো গাছ বা বীজ সহজেই বেড়ে ওঠে। ফ্ল্যাট বাড়িতেও এক সময় করেছিলাম, টবে লাগিয়ে। এ বছরও টুকটাক লাগিয়েছি কি হয় দেখা যাক।
এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন ভাইয়া জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে এখন ফাঁকা জায়গা অনেক কমে গেছে। সবাই শুধু থাকার জন্য বাসস্থান তৈরি করছে। আপনার বাগানের টাটকা শাকসবজি গুলো দেখে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।
চিকন এই ডাটা গুলো খেতে আসলেই দারুণ লাগে। আমার বাসায় তো মোটা ডাটা গুলো খেতেই চায় না। তাই আমি সবজি কিনতে গেলে,চিকন ডাটা গুলো খুঁজে থাকি। যাইহোক ডাটা শাকের গল্প পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি কিন্তু এখনই রওনা দিলাম। কালকের ভিতরে আমি আপনার বাড়ি গিয়ে এই শাক নিয়ে আসব। আসলে এত সুন্দর একটা শাক সবজির বাগান তৈরি করে আমাদেরকে অবাক করে দিয়েছেন। যদিও ঘরোয়া উপায়ে এই ধরনের শাকসবজিতে তেমন কোনো সারের ব্যবহার হয় না। এত সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন এবং আমরা সেই জিনিসটা দেখতে পেয়ে সত্যি খুব ভালো লাগলো।
্নিজের হাতে বোনা সব্জির মজাই অন্য রকম। গ্রামে যদিও কিছুটা ফাঁকা জায়গা এখনও পাওয়া যায় কিন্তু শহরে তা বেশ কঠিন। তাইতো আজকাল ছাঁদ বাগানের দিকে ঝুকছে সৌখিন বাগানীরা। ফলে কিছুটা হলেও নিজের বাগানের সব্জি খেতে পারছে। আপনার লাগানো ডাটাগুলো বেশ সুন্দরভাবে বেড়ে উঠেছে। এই ডাটা শাক হিসাবে যেমন খাওয়া যায় তেমনই সব্জি হিসাবেও বেশ মজা।
সবজি বাগানের বিভিন্ন অংশ গুলো দেখতে পেয়ে ভীষণ ভালো লাগলো ভাইয়া। ডাটা শাকগুলো বেশ সতেজ রয়েছে।শাক খাওয়া গেলেও ছোট ছোট ডাটা গুলো ও বেশ ভালো লাগে খেতে।সবজি বাগানের সামনের জায়গাটুকুতে ডাটা লাগিয়ে বেশ ভালো ই ফলন হয়েছে।দেখে ও শান্তি,খেয়ে ও তৃপ্তি।ধন্যবাদ ভাইয়া অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন ভাই জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে আমাদের বাড়ির সামনের জায়গা গুলোতেও বাসা তৈরি করা হচ্ছে। আপনার বাড়ির সামনে উঠোন আছে জেনে অনেক ভালো লাগলো।উঠান থাকলে আমরা অনেক কাজ করতে পারি।আসলে শহরে এই সবজির গাছগুলো এতটা সুন্দর হতো না আর মাটিরও একটি ব্যাপার আছে । তবে আপনার সবজির বাগানটি দেখে খুব লোভ হচ্ছে আমারও গ্রামের বাড়িতে এরকম গাছ লাগাতে ইচ্ছা করছে।ডাটা গুলো বেশ বড় হয়েছে দেখছি খেতে খুব স্বাদ লাগবে। অনেক ধন্যবাদ ভাই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।