দুর্গাপূজা। পর্ব:- ০৬
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আসলে আজ দুর্গাপূজার বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন ঘটনা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আসলে এতক্ষণ পূজো দেখতে দেখতে আমরা খুব ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। কেননা প্রথম যে পূজা প্যান্ডেলটি দেখেছিলাম সেই পুজোটা দেখতে আমরা প্রায় দুই ঘন্টার উপরে সময় লেগেছিল। তাই আমাদের অনেক বেশি কষ্ট হয়ে গেছিল। আর ওই পূজা প্যান্ডেল থেকে আমরা পরবর্তীতে যে প্যান্ডেলটি দেখতে গিয়েছিলাম সেই প্যান্ডেলের দূরত্ব প্রায় ১০ মিনিট হলেও আমাদের যেতে প্রায় ৪০ মিনিট সময় লেগেছিল। কেননা এই জায়গার রাস্তাঘাট আমাদের চেনা ছিল না। তাই লোকের কাছে জিজ্ঞাসা করতে করতে আমরা আস্তে আস্তে হেঁটে এই প্যান্ডেলে গিয়ে পরবর্তীতে প্যান্ডেলটি দেখার শেষে আমরা বাইরে বের হয়ে একটু খাবার খাওয়ার জন্য বিভিন্ন দোকান দেখতে লাগলাম। তখন আমাদের চোখের সামনে হঠাৎ একটা চিকেন শর্মার দোকান দেখতে পেলাম।
আসলে সত্যি বলতে কি এর আগে আমি কখনো এই চিকেন শর্মা খাইনি। যাইহোক আমার গিন্নি এর আগে এই চিকেন শর্মা খেয়েছে এবং সে আমাকে বলল যে এটি খেতে নাকি বেশ ভালো হয়। যাইহোক গিন্নি কোন রেস্টুরেন্ট থেকে খেয়েছিল তাই তার কাছে ভালো লেগেছিল বলে গিন্নি আমাকে একটা চিকেন শর্মা কিনতে বলল। যাইহোক ওর কথা মতো আমি চিকেন শর্মা দুটো অর্ডার করলাম। কিন্তু পরক্ষণে গিন্নি আমাকে বলল যে তুমি প্রথমে একটা খেয়ে দেখো। কেননা এইসব মেলাতে যেসব দোকান ওঠে সেই সব দোকানের খাবারগুলো তেমন একটা কিন্তু ভালো হয় না। কেননা একে তো প্রচুর পরিমাণে লোক থাকে তেমনি এইসব খাবারের কোয়ালিটিও অনেক নিম্নমানের থাকে। তাই আমি গিন্নির কথামতো প্রথমে একটি চিকেন শর্মা অর্ডার করলাম।
যাই হোক চিকেন শর্মা আমাদের কাছ থেকে ২০০ টাকা নিল। যদিও এই চিকেন শর্মা দাম এত বেশি হওয়ার কথা নয়। আসলে মেলার সময় সকল জিনিসপত্রের দাম একটু বেশিই থাকে। বিশেষ করে যখন চিকেন শর্মা তৈরি করছিল তখন আমি এদের তৈরি পদ্ধতি গুলো আস্তে আস্তে দেখতে লাগলাম। অর্থাৎ চিকেন কে একটা লাঠির ভিতরে সুন্দরভাবে সাজিয়ে পাশে একটা কারেন্টের তৈরি হিটার দিয়ে হিট দিয়ে উপরের মাংসটাকে পুড়িয়ে ফেলা হয়। যেটি কিনা অনেকটা কাবাব টাইপের হয়ে থাকে। এর পরবর্তীতে যখন উপরের এক স্তরে চিকেন গুলো একটু কাবাবের মত হয়ে আসে তখন একটা ছুরি দিয়ে উপর দিয়ে পাতলা করে সুন্দর করে মসৃণ ভাবে কাটা হয়। আর এর ফলে আস্তে আস্তে করে চিকেন শর্মা তৈরির মাংস রেডি হয়ে যায়।
এর পরবর্তীতে এরা মেয়োনিজ সহ বিভিন্ন ধরনের সবজি এবং শসা দিয়ে একটা স্যালাড মতো তৈরি করা হয়। এরপর চিকেন ওই মেয়োনিজ মাখানো সবজির মধ্যে হালকা করে মিশিয়ে দিয়ে একটা আলতো করে পোড়ানো রুটির উপরে দিয়ে দেওয়া হয়। আসলে রুটিটা দেওয়ার আগে ওই গরম তাওয়ার উপর একটু গরম করে নেয়া হয়। যাইহোক আমি অপেক্ষা করছিলাম কখন এই চিকেন শর্মা খেতে পারব। কেননা কোন নতুন জিনিস ট্রাই করার আগে একটা আলাদা ধরনের আনন্দ থাকে। যাইহোক যখন চিকেন শর্মা খেলাম তখন আমার মুখের চেহারা অনেকটা পাল্টে গেল। কেননা এত বিশ্রী খেতে ছিল যে আমি দোকানদারকে সোজাসুজি বলে দিলাম যে দাদা আপনি যে চিকেন শর্মা তৈরি করেছেন তা কি কখনো আপনি খেয়ে দেখেছেন। কেননা এত খারাপ হয়েছে তাই আমি আমার মুখের ভাষা আর কন্ট্রোল করে রাখতে পারিনি। যাইহোক রাগ করে পরবর্তীতে দোকানটা ছেড়ে দিয়ে অন্য খাবারের খোঁজে বেরিয়ে পড়লাম। আমার পুরো টাকাটাই লস।
ক্যামেরা পরিচিতি : Motorola
ক্যামেরা মডেল : Motorola edge 50 pro
ক্যামেরা লেংথ : 5.89 mm
আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
দাদা আপনি অনেক বেশি সুন্দর করে দুর্গাপুজোর ছয় নাম্বার পর্ব আমাদের মাঝে আজকে শেয়ার করেছেন। আর এই পর্বটা পড়তে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। চিকেন শর্মা খেতে একেবারেই ভালো ছিল না এটা বুঝতেই পারলাম। আসলে ভালোলাগা থেকে যদি কোনো কিছু খেতে ইচ্ছে করে, তখন যদি খাবারের মনটা এরকম হয়, তখন একেবারেই ভালো লাগেনা। আমিও ঠিক আপনার মতই খাবার ভালো না লাগলে এরকম ভাবে বলে ফেলি।
চিকেন শর্মা খেতে ভালো ছিল না এটা জেনে সত্যিই অনেক খারাপ লাগলো দাদা। আসলে আমরা অনেক সময় অনেক আগ্রহ নিয়ে খাবার খাই। কিন্তু খাবারের টেস্ট যদি খারাপ থাকে তখন ভীষণ মন খারাপ হয়ে যায়। পুজোয় কাটানো সুন্দর মুহূর্তগুলো দারুন ভাবে তুলে ধরেছেন দাদা।
চিকেন শর্মা আমার অন্যতম একটি প্রিয় খাবার। এই খাবারে তেল নেই বলে তার শরীরের পক্ষে অনেকটা ভালো বলে মনে করি। তাই পুজোর সময় আপনি এই খাবারটি খেয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। দূর্গা পূজার ভিড়ে এমনিতেই অনেক বাইরের খাবার খাওয়া হয়ে যায়। তাই সে ক্ষেত্রে এই ধরনের তেল হীন খাবার গুলি খেলে শরীর অনেকটা ভালো থাকে। আপনার দূর্গা পূজার পোস্ট গুলো পড়তে ভালো লাগে।