দুর্গাপূজা। পর্ব:- ০৭
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আসলে আজ দুর্গাপূজার বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন ঘটনা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
যেহেতু এই নতুন খাবারটি খেয়ে আমাদের তেমন একটা ভালো লাগছিল না তাই আমরা একটা আইসক্রিমের দোকান থেকে আইসক্রিম খেয়ে পুনরায় অন্য একটি প্যান্ডেল দেখার জন্য রওনা দিলাম। যেহেতু এই জায়গাতে একটা প্যান্ডেল দেখে অন্য একটা প্যান্ডেলে যেতে অনেক বেশি সময় লাগে। এছাড়াও নতুন নতুন জায়গায় গিয়ে রাস্তা কিন্তু সঠিকভাবে চেনা যায় না। তাই সঠিক রাস্তা চেনার প্রধান মাধ্যম হল এখানকার স্থানীয় লোকজন গুলো। অর্থাৎ লোকের মুখে মুখে শুনতে শুনতে যদি আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি তাহলে আমরা কিন্তু সহজে অন্য বিভিন্ন ধরনের প্যান্ডেল দেখতে পারবো। আসলে এবার যে প্যান্ডেলটি আমরা দেখতে যাব সেটি হল বৃন্দাবনের প্রেম মন্দির। অর্থাৎ আমরা যেখানে রয়েছি সেখান থেকে ওই প্যান্ডেলটিতে যেতে অনেক সময় লাগবে।
কয়েকজন লোক আমাদের বলল যে আপনারা অটোতে করে ওই প্যান্ডেলটি দেখতে যান। কেননা এই জায়গা থেকে আপনি যদি হেঁটে যাওয়ার চেষ্টা করেন তাহলে আপনাকে প্রায় এক ঘন্টার উপরে সময় লেগে যেতে পারে। যাই হোক আমরা ওনাদের কথামতো একটা অটো ভাড়া করে ওই প্যান্ডেলের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য রওনা দিলাম। আসলে যেহেতু পুজোর দিনে গাড়ি না ভরলে কোন গাড়ি সহজে ছাড়তে চায় না। তাই আমাদের কুড়ি মিনিট বসে থাকতে হল যতক্ষণ না অটো ভর্তি না হয়। এরপর আমরা অটোতে করে ওই প্যান্ডেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আমি ঠিকঠাকভাবে কোন ছবি তুলতে পারিনি। যাইহোক যখন প্যান্ডেলটির সামনে চলে এলাম তখন প্যান্ডেলের বাইরের আলোর কারুকার্য এবং প্যান্ডেলের দৃশ্যটি দেখে আমার সত্যি মন ভরে গেল।
কেননা মানুষের হাতের কাজকর্ম যে এতটা সুন্দর হতে পারে তা আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জায়গায় দেখতে পাই। আর এই জন্য মানুষের হাতের কদর এই পৃথিবীতে সব থেকে বেশি। আসলে যেখানে আমাদের অটোতে নামিয়ে দেয়া হয়েছিল সেখান থেকেও আমাদের অনেকটা পথ যেতে হয়েছিল। কেননা এসব পুজোর প্যান্ডেলের রাস্তাগুলোতে গাড়ি চলাচল তখন নিষিদ্ধ ছিল। যাই হোক পুজোর প্যান্ডেলের সামনে এসে আমরা চুপচাপ একটা ফাঁকা জায়গায় দাঁড়িয়ে প্যান্ডেলের ছবি তুলতে শুরু করলাম। আসলে আলোর বিভিন্ন ধরনের কালারের এই প্যান্ডেলটির জন্য প্রতি মুহূর্তে তার রূপ বদল করছে। আসলে এই প্যান্ডেলের সামনের বিভিন্ন ধরনের আলোর ছবি আজ আমি আপনাদের মধ্যে শেয়ার করলাম।
এছাড়াও প্যান্ডেলটির সামনে রাধা কৃষ্ণের দুটি মূর্তি বানিয়ে সেখানে রাখা হয়েছে। অর্থাৎ বৃন্দাবনের প্রেম মন্দির থাকবে এবং সেখানে রাধা কৃষ্ণ থাকবে না সেটি কখনো হতে পারে না। আসলে এসব কমিটির চিন্তাভাবনার সত্যিই দারুণ। এছাড়াও যে ব্যক্তিগুলো অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই ধরনের প্যান্ডেল তৈরি করে তাদেরকে আমার সাধুবাদ জানাই। কেননা এই এত সুন্দর প্যান্ডেল তৈরির পেছনে যে পরিশ্রম রয়েছে তা কিন্তু সহ্য করার মত নয়। অর্থাৎ তারা দিনরাত এক করে এই ধরনের সুন্দর জিনিস তৈরি করেছে যাতে করে আমরা তাদের তৈরি সেই জিনিস গুলো দেখে তাদের প্রতি একটা ভালবাসার সৃষ্টি হয়। যাইহোক আমরা প্যান্ডেলের সামনে এবং পাশ থেকে বিভিন্ন ধরনের ছবি তুলে আস্তে আস্তে প্যান্ডেলের ভিতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করলাম।
ক্যামেরা পরিচিতি : Motorola
ক্যামেরা মডেল : Motorola edge 50 pro
ক্যামেরা লেংথ : 5.89 mm
আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
বেশ ভালো কিছুটা সময় কাটিয়েছেন ৷ আপনার সুন্দর অনুভূতি এবং চমৎকার ফটোগ্রাফি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো ৷ এই পুজো প্যান্ডেলের সৌন্দর্য্য সত্যিই অসাধারণ ৷ ফটোগ্রাফি গুলো দেখে চোখ ফেরানো যাচ্ছে , বাস্তবে দেখতে না জানি কত সুন্দর হয়েছে ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা
বৃন্দাবনের প্রেম মন্দিরের আদলে দারুন সুন্দর প্যান্ডেল বানিয়ে যেত। প্যান্ডেলটা যত দেখছি তত অবাক হচ্ছি। কত সুন্দর করে নিখুঁত কারুকার্য চারপাশে। যেন সত্যিই বৃন্দাবনের প্রেম মন্দির মনে হচ্ছে। সামনে রাধা কৃষ্ণের মূর্তিও বসিয়েছে শুনে ভালো লাগছে। সব মিলিয়ে দারুন একটি সুন্দর মণ্ডপের ছবি এবং ব্যাখ্যা আপনি ব্লগের সাহায্যে তুলে আনলেন। সম্পূর্ণ ব্লগটি দেখতে দারুন লাগলো।