অল্প দিনের মায়া। (লাইফস্টাইল পোস্ট )
আমি @rahimakhatun
from Bangladesh
২৭ই ডিসেম্বর ২০২৪
এই যে দুইটা হাঁস ,যখন বেশ ছোট ছিল। একটু বড় হয়েছিলো ,কিন্তু এখন আর নেই।
আমাদের দুইটা পোষা প্রানী মারা গিয়েছে। আসলে অল্প দিন হলেও বেশ মায়ার একটা প্রানী ছিলো।আসলে কিছু কিছু সময় কিছু কিছু অল্প সময় হলেও বেশ মায়ার বাঁধনে আটকে যায়।আপনারা হয়তো সকলেই জানেন আমি শখের বসে নানা রকমের প্রানী পোষি।আমি কেন আমার বোন ও এই রকমের।আসলে ভালো লাগে
যখন আরেকটু বড় হয়েছে। আমার মেয়ের পা ও দেখা যাচ্ছে।ওদের পিছনে পিছনে হাঁটতো। হাত দিয়ে আদর করতো।
আমার প্রানীদের সাথে সময় কাটাতে।বেশকিছু আগে মেরাডিয়া থেকে দুইটা হাঁস কিনে এনে দেয় আমার বোনের ছেলে।ও এক প্রকার গাছ এবং পশু প্রেমী।আসলে হাঁস কখন পালন করা হয় নি শখের বসেই আনা।আমাদের এখানে যেহেতু পুকুর নেই তাই দেশী হাঁস এনে ছাঁদে রাখার জন্য।একটি বোলে পানি রেখে দিলে এগুলোতেই তারা সাঁতার কাটে এবং পানি খায়।
বেশকিউট বাচ্চাগুলো। আমার ছোট বাচ্চাটাও ওদের দেখলে বেশ হাসে খেলে।এরা হাঁটে ওদের পিছনে পিছনে টুকটুক করে হাঁটে। যেখানে যায় দুইজনই একসাথে যায়। ফলের ক্যারেটে এতদিন রাখা হতো।আস্তে আস্তে একটু বড় হওয়াতে তাদের জন্য ঘরে বানানো চিন্তা ভাবনা।যাই হোক সেইদিন আপু বেশ করে একটি ঘর বানিয়ে দেয়।বাসায় কিছু ছোট ছোট টিন ছিলো আর দুইটা হাঁস এত মিলেমিশে থাকতো।
দুইটার একটা খাঁচায় রাখলে লাফ দিতো। এত কিউট লাগতো।আমি কয়েকটি এলোমেলো ছবি তুলেছিলাম।কাল যখন ছাদে উঠি হাঁসগুলো নেই। পরে খোঁজা খুজির পর ছাদের রেলিং উঁকু দিয়ে দেখি হাসঁ গুলো পাশের ছাদে পরে মরে রয়েছে।দেখে কলিজাটা বেশ কেঁপে উঠলো বেশ খারাপ লাগে।আসলে অল্প দিন হলেও বেশ মায়ার বাঁধনে আটকে গিয়েছে।আর একটু বড়ও হয়েছিলো।
আজকে আর নয় ,আবার আসবো অন্যকোন দিন অন্যকোন পোস্ট নিয়ে সেই অব্দি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ
আমি রাহিমা খাতুন নেভি। আমি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর B.S .C করেছি। আমার ভালো লাগে নতুন নতুন জিনিস দেখতে এবং শিখতে।আমার বাংলা ব্লগের সাথে সকল নিয়ম কানুন মেনে থাকতে চাই।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
অনেক খারাপ লাগে আপু যখন এই সমস্ত পশু পাখি পুষতে যাই তখন মায়া লাগে। হঠাৎ করে যদি মারা যাইবা কোন কারনে নষ্ট হয়ে যায় তাহলে কঠিন কষ্ট হয়। আর ছোট বেলায় এই অনুভবটা বেশি করতাম।
পাশের ছাদে কিভাবে মারা পড়লো? সত্যি বলতে কি কোন পশু পাখি বাড়িতে পুষে রাখলে যতটা আনন্দদায়ক হয় তাদের মৃত্যু ততখানি কষ্টকর। আমার দাদা একবার নয়টা হাঁস পুষেছিল। প্রচন্ড শীতে কোনভাবেই তাদের রাখতে পারছিল না। পরবর্তীতে যখন দুটোতে গিয়ে ঠেকলো আর তারই একটা যেদিন মারা গেল দাদার সে কি ভয়ঙ্কর কান্না। তারপর থেকে মা আর কোন পশুর প্রাণী পৌঁছে দেন না। আপনার জন্য খুবই কষ্ট হচ্ছে কারণ এই অনুভূতির মধ্য দিয়ে আমিও গিয়েছি একটা সময় আমার খাঁচাতে অনেক বদ্রি পাখি ছিল।