কবিতা - হলুদের শাড়ি ||~~💞
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সব সময় ভালো থাকবেন,এটাই প্রত্যাশা করি।
কবিতা "হলুদের শাড়ি"-তে হলুদের শাড়িকে কেন্দ্র করে জীবনের গভীর অর্থ ও আবেগ তুলে ধরা হয়েছে। শাড়িটি এখানে একটি প্রতীক, যা নারীর জীবনের বিভিন্ন অধ্যায়, অনুভূতি, স্মৃতি ও সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরে। , তার ভালোবাসা, সাফল্য, ত্যাগ, এবং সুখ-দুঃখের নীরব সাক্ষী হয় এই শাড়ি ।
হলুদের শাড়ি কখনো রোদ্দুর, কখনো ভোরের আলো, আবার কখনো অশ্রুসিক্ত রাতের প্রতীক। এটি জীবনের মেলবন্ধন, যা নারীর সাহস, সংগ্রাম এবং জীবনের সৌন্দর্যকে প্রকাশ করে। শাড়ির ভাঁজে ভাঁজে লুকানো থাকে সময়ের গল্প, যা জীবনের বিভিন্ন মুহূর্তকে জাগিয়ে তোলে।
এ কবিতার মূলভাব হলো, নারীর জীবনকে বোঝার জন্য তার ব্যবহারিক জিনিসপত্রের ভেতরেও অনুপ্রেরণা ও অর্থ খুঁজে পাওয়া যায়। শাড়ি যেমন জীবনের মায়া-মমতা, সংগ্রাম এবং সৌন্দর্যের প্রতীক, তেমনি এটি নারীর জীবনের প্রতিচ্ছবি।
হলুদের শাড়ি কখনো এক টুকরো রোদ্দুর,
কখনো ভোরের আলো,
কখনো বা সন্ধ্যার শেষ আলোর আভা।
হলুদের শাড়ি এ এক
আবেগ, এক চিরন্তন গল্প।
তোমার পরনে হলুদের শাড়ি,
তোমার চোখে মিশে থাকা এক রংধনু,
একটি বৃষ্টির পরের শান্তি।
আমি দেখেছি, তোমার হাসি
যেন শাড়ির ভাঁজে ভাঁজে সেলাই করা।
তুমি যখন সেই শাড়িতে জড়িয়ে নাও নিজেকে,
তখন মনে হয়, যেন
প্রকৃতির এক অদ্ভুত মেলবন্ধন।
এই শাড়ি দেখেছে তোমার প্রথম ভালোবাসা,
তোমার মায়ের শাসনের কঠোর স্পর্শ,
তোমার বিজয়ের মুহূর্ত,
আর কখনো কখনো অশ্রুসিক্ত রাত।
শাড়ির আঁচলে বেঁধে রাখা কিছু
শুকনো ফুলের গন্ধ,
যা তোমার মনের গভীরে রয়ে গেছে।
হলুদের শাড়ি ,
এ এক নিরব সাক্ষী।
তোমার সংগ্রাম, ত্যাগ,
আর একটার পর একটা
নতুন সূর্যের গল্প।
তোমার সাফল্যের প্রান্তিক রেখা,
তোমার ছুঁয়ে যাওয়া সময়ের সাক্ষর।
যখন আমি সেই শাড়ি দেখি,
মনে হয়,
এ যেন জীবন নদীর বয়ে চলা ঢেউ,
যেখানে তুমি ভেসে গেছ,
আবার ফিরে এসেছ।
তোমার পরনে হলুদের শাড়ি,
তুমি তখন রঙিন এক ক্যানভাস,
যেখানে লেখা হয় জীবনের কবিতা।
আমি সেলিনা সাথী। ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা তার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। আমার বাবা পিতা মরহুম শহিদুল ইসলাম ও মাতা রওশনারা বেগম। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি'সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। তিনি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনীত হয়েছি।
বিষয়: ক্রিয়েটিভ রাইটিং
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আজকের কবিতাটি আমার কাছে একটু আলাদা ধরনের মনে হয়েছে। আসলে আমরা অনেকেই বাস্তব জীবন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কবিতা লেখার চেষ্টা করি। কিন্তু আপনার কবিতার মধ্যে আমি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের নতুনত্ব খুঁজে পাই। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে সিয়ামের বিয়ের কেনাকাটা নিয়ে ভাবতে গিয়ে গায়ে হলুদের শাড়ির কথা মনে পড়ে গিয়েছিল। এবং এই গায়ে হলুদের শাড়ির সঙ্গে একটি নারীর নিবিড় সম্পর্ক খুব ভালোভাবে উপলব্ধি হচ্ছিল হৃদয়ে। সেই অনুভূতি থেকেই এই কবিতাটি লেখা।
আপনি এবং আপনার কবিতার যদি প্রশংসা করতে যাই তাহলে হয়তো গুছিয়ে বলতে পারবো না।
তবে এতো টুকু বলতে পারি আপনি অসাধারণ লিখেন। আর কবিতাগুলো থেকে শেখার আছে অনেক কিছু।
এগিয়ে যান, দোয়া সবসময়ই রয়েছে।
আপনাদের উৎসাহ আমাকে অনুপ্রেরণা যোগায়।
আপনাদের অনুপ্রেরণা পেয়ে আমি হয়তো ভালো লিখতে পারি। যা সরাসরি আপনাদের হৃদয়কে স্পর্শ করে। আর এটাই আমার প্রাপ্তি।
হলুদ রঙের আলাদা অর্থ আছে৷ তুমি কবিতায় সে অর্থ নানান আঙ্গিকে তুলে ধরেছ। শাড়ি ও নারীর যে হার্দিক বন্ধন তা অনেকখানি স্পষ্ট। চমৎকার লিখছ বন্ধু।
শাড়িতে নারী এবং প্রতিটি শাড়ির আলাদা আলাদা ভাবার্থ আছে। বিশেষ করে গায়ে হলুদের শাড়ি এবং বিয়ের শাড়ি। অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা এবং ভালোবাসা তোমার প্রতি।