কাঁকড়া ভর্তা রেসিপি❤️
হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের আশীর্বাদ ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
আজ প্রচন্ড ঠান্ডা। মেয়ের পরিক্ষা চলছে তাই খুব সকালে উঠতে হয় এবং সারে আটটায় স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হয়।শীতকালের আটটা মানে আমার কাছে ভোর বেলা মনে হয়।
আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো কাঁকড়া ভর্তা রেসিপি।আশা করছি আপনাদেরকে ভালো লাগবে।
কাঁকড়াতে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস রয়েছে যা হাড় এবং দাঁত এর স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই হাড়ের স্বাস্থ্য এবং শক্তি বজায় রাখতে, আমরা কাঁকড়া খেতে পারি। কারণ কাঁকড়া প্রোটিনের একটি দুর্দান্ত উৎস। এছাড়া কাঁকড়ার মাংসে থাকা ফসফরাস এবং অস্টিওপোরোসিস আর্থ্রাইটিসের মতো রোগ-প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে।
কাঁকড়ার অনেক প্রজাতি হয়ে থাকে।সামুদ্রিক এলাকায় কাঁকড়া বেশ বহু প্রকারের পাওয়া যায়।কাঁকড়া নানা রকম পদ্ধতিতে রান্না করে খাওয়া যায়।আমাদের এলাকায় দেশি কাঁকড়া পাওয়া যায় তবে আগের দিনের তুলনায় খুব কম।শহরে কাঁকড়া কিনতে পাওয়া যায় জন্য খাওয়া যায় মন চাইলেই কিন্তুু গ্রামে কাঁকড়া কিনতে একদমই পাওয়া যায় না।
আমার এক প্রতিবেশী আজকে কিছু কাঁকড়া পাঠিয়েছে আর সেই কাঁকড়া দিয়ে আজকে আমি মজাদার ভর্তা রেসিপি করেছি।কাঁকড়া ভর্তা আমার খুব পছন্দের তাই কাঁকড়া ভর্তা করেছি খুব সহজ পদ্ধতিতে।
তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন।
কঁকড়া |
---|
শুকনা মরিচ |
রসুন |
লবন |
হলুদ |
প্রথম ধাপ
প্রথমে কাঁকড়া গুলো কেটে ধুয়ে পরিস্কার করে জল ঝড়িয়ে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন কাঁকড়া গুলোতে লবন হলুদ দিয়েছি ও মেখে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এখন ভালো করে কাঁকড়া গুলো ভেজে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
এখন শুকনা মরিচ ভেজে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
এখন ভাজা কাঁকড়া গুলো শিল পাটায় নিয়ে ভালো করে বেটে নিয়েছি। রসুন ও শুকনা মরিচ দিয়ে।
ষষ্ঠ ধাপ
এখন তুলে নিয়েছি একটি প্লেটে পরিবেশের জন্য।
পরিবেশন
এই ছিলো আমার আজকের মজাদার সুস্বাদু ও লোভনীয় রেসিপি কাঁকড়া ভর্তা রেসিপি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি আবারও দেখা হবে অন্য কোন পোস্টের মাধ্যমে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
ওয়াও কাকড়া ভর্তা!!! কাকড়া ফ্রাই খেয়েছি কিন্তু কখনো ভর্তা খাইনি।ইউনিক একটি ভর্তা তৈরি করেছেন আপু।দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে।আপনার রেসিপি দেখে একদিন আমিও তৈরি করার চেষ্টা করব।মজাদার এবং ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে এত সুন্দর ভাবে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কাঁকড়া ফ্রাই করে খেতেও মজা আরো বেশি মজা এভাবে ভর্তা বানিয়ে খেতে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আজকে আপনি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে কাঁকড়া ভর্তা করে দেখিয়েছেন। এই রেসিপিটা প্রায় মানুষকে খেতে দেখি তৈরি করতে দেখি কিন্তু আজ পর্যন্ত খাওয়া হয়নি। জানিনা কেমন টেস্ট তবে কোন একদিন সুযোগ পেলে খাওয়া হবে।
অনেক সুস্বাদু ভাইয়া এই রেসিপিটি খেয়ে দেখবেন খুবই ভালো লাগবে।
কাকড়া আমার কখনো খাওয়া হয়নি। তবে সব সময় শুনি এটা খুবই সুস্বাদু। আজকে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে এর গুনাগুন সম্পর্কে জানতে পারলাম। খুব মজার একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। যেকোনো ভর্তা আমার ভীষণ ভালো লাগে। আর কাকড়া ভর্তা নিশ্চয়ই অনেক বেশি সুস্বাদু হয়। বেশ লোভনীয় লাগছে আপনার রেসিপিটা দেখে। আপনাকে ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
সত্যি কাঁকড়া অনেক সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর।খেয়ে দেখবেন কখনো ভালো লাগবে।
কাঁকড়া খুব একটা খাওয়া হয়নি তবে খুলনায় গিয়ে বাপি কাকা খুব জোর করেই কাঁকড়া খাইয়েছিলো,খেতে বেশ ভালোই লেগেছিলো।এগুলো দেশি কাঁকড়া দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক টেস্টি হবে।অনেক লোভনীয় রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ তোমাকে।
আমিও খুলনা গিয়ে কাঁকড়ার রসা খেয়েছিলাম আর এই ভর্তা রেসিপিটির সাথে ছোটবেলা থেকে পরিচিত খুব সুস্বাদু একটি রেসিপি।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
কাঁকড়া ভর্তা রেসিপি দুর্দান্ত হয়েছে আপু। দেখতে অনেকটা চিংড়ি মাছের ভর্তার মত লাগছে। যদিও এই খাবারটি কখনো খাওয়া হয়নি। তবে অবশ্যই একদিন ট্রাই করে দেখবো। ঝাল ঝাল ভর্তা খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে।
ঠিক বলেছেন চিংড়ি ভর্তার মতো দেখতে খেতেও অসাধারণ সুস্বাদু। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমাদের কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত ভিন্ন ভিন্ন ধরনের ভর্তা রেসিপি দেখে মুগ্ধ হচ্ছি। আসলে এই ধরনের ভর্তা রেসিপি আগে কখনো খাওয়া হয়নি। কাঁকড়া ভর্তার রেসিপি যেটা খেতে খুবই সুস্বাদু হবে বুঝি। অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার রেসিপি তৈরি । সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
সত্যি অনেক সুস্বাদু ভর্তা ভাইয়া এই কাকড়া ভর্তা।
এই কাঁকড়া গুলো খুব ছোট ছোট তাই না? কারণ বড় কাঁকড়া গুলো তো বড়ই হয় তাকে কিভাবে বাটা যাবে? আইডিয়া নেই। তবে কাকার ব্রকলি দিয়ে একটা সুপ হয় হেভি লাগে খেতে। তোমারটাও তো মনে হচ্ছে ভালই হয়েছিল খেতে।
ছোট দেশি কাঁকড়া ভেজে বাটলে একদমই মিহি হয়ে যায় বাটা।সুপ খাওয়া হয়নি কখনো।
কাঁকড়া ভর্তা রেসিপি আমি কখনো খাইনি। আমি তো এটাও জানতাম না কাঁকড়া ভর্তা করে খাওয়া যায়। দারুন ভাবে কাঁকড়া ভর্তা করেছেন দিদি। ভর্তা দেখেই তো লোভ লাগছে। এভাবে ভর্তা করে একদিন খেতে হবে ভাবছি। এতো সুন্দর রেসিপি ধারাবাহিকভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
একদিন এভাবে ঝাল ঝাল করে বানিয়ে খেয়ে দেখবেন ভীষণ ভালো লাগবে। একবার খেতে কাঁকড়া পেলেই ভর্তা খেতে মন চাইবে।
কাকড়া যে ভর্তা বানানো যায় এটা আমার জানায় ছিল না আপু। তবে কখনো কাকড়া খাওয়া হয়নি। আর যে কোনো ভর্তা গরম গরম ভাতের সাথে খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার বানানো ভর্তা দেখতেও খুবই লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ কাকড়া ভর্তা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
এভাবে একদিন কাঁকড়া ভর্তা বানিয়ে খাবেন বার বার খেতে মন চাইবে।