সত্যি ঘটনায় গল্প দত্তক❤️
হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের আশীর্বাদ ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
জন্ম মৃত্যু বিয়ে বিধির কলম দিয়ে। জন্ম হলে মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যু একমাত্র সত্যি। মানুষের কর্ম ফল অবশ্যই পায় সে পরজন্মে।সেরকম একটি সত্যি ঘটনা আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো আজকে।
তো চলুন ঘটনাটি কেমন জেনে নেই।
আমার ননদও জা এসেছে আমাদের বাড়িতে। বেশ কয়েক দিন হলো আসার। বাচ্চারা বাইরে যাওয়ার জন্য ব্যাস্ত হয়ে গেছে। আশে পাশে ভালো কোন জায়গা না থাকায় আমরা ভাবলাম যে স্থানীয় হাই স্কুলে নিয়ে যাই।আমার ননদ, আমার বর,দেওর এক কথায় সবার এই স্কুল।বাচ্চাদের কে মাঠে খেলতে দিয়ে আমরা বসে ছিলাম বারান্দায়।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছিলো আর সেজন্য আমরা বাড়িতে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে যাই এবং আমার এক দেবর এই স্কুলের পাশের এক বাসায় ভারা থাকেন। যে বাসায় ভারা থাকেন তিনি আমার পরিচিত এবং তার ওয়াইফ আমার এলাকায় মেয়ে।আমরা উপরে আমার দেবেরে বাসায় যাওয়ার জন্য উপরে উঠবো আর আমি কিছু গাছ ও খাবার জিনিসপত্রের ব্যাগটি ঐ বাসার মালিকের দোকানে রাখলাম। ওনার পাশে একটি ছেলে বাচ্চা দেখলাম এবং প্রশ্ন করলাম কে সে বল্লেন আমার ছেলে।
আমি শুনেছিলাম ওনি একটি ছেলে দত্তক নিয়েছে। ওনারা উচ্চবিত্ত। একটি মেয়ে আছে ওনার।ওনার ওয়াইফের শাররীক সমস্যার জন্য আর বাচ্চা নিতে পারবেন না কিন্তুু ছেলে চাই ওনার।
প্রবাসী টাকার জন্য বিয়ে করে বউকে রেখে পারি জমিয়েছে বিদেশে।বউকে পরিবারের সদস্য কে ভালো রাখার জন্য বিদেশে পারি দেয়া।বিয়ে করে ছয় মাসের মধ্যে চলে গেছে সে।
এদিকে প্রবাসীর বউ কোন ভাবে পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে যায় এবং পরকীয়া প্রেমিকের বাচ্চার মা হতে চলে।প্রথম প্রথম বুঝতে পারেনি এবং যখন জানতে পেরেছে সে গর্ভবতী তখন আর বাচ্চা নষ্ট করার কোন অপশন নাই।হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরতে থাকে বাচ্চা নষ্ট করার জন্য কিন্তুু কোন ডাক্তার রাজি হয়নি ঝুঁকি ছিলো জন্য। কারণ ওনার এমন কিছু সমস্যা ছিলো যে বাচ্চা নষ্ট করতে গেলে জীবননাশ হতে পারে আর যেহেতু অবৈধ সন্তান হবে তাই ডাক্তার ঝুঁকি নিতে চায়নি।
এদিকে এই মহিলার খবর কোন এক আত্নীয়ের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন এই দম্পতি আর প্রবাসীর বউয়ের সাথে আলোচনা করে এবং বাচ্চা টা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করে। প্রবাসীর বউ হয়তো দেবদূত ভেবে রাজি হয়েছে এবং বাচ্চা টি প্রসব করে তাদের দিতে রাজি হয়েছে।
বাচ্চাটির মায়ের সব রকম যত্নও সেবা যত্ন দিয়ে এনারা বাচ্চা টি নিয়ে নেয় প্রসব করা মাত্রই।নিজের সন্তানের মতোই লালল পালন করে এবং কেউ বুঝতে পারে না যে বাচ্চাটি তাদের নয় দত্তক নেয়া।আমরা যখন আমার দেবরের বাসায় গেলাম এবং এসব গল্প শুনলাম অবাক হলাম কারণ আমি আগে থেকে জানতাম যে দত্তক নিয়েছে কিন্তুু এটা আজকে প্রথম শুনলাম যে প্রবাসীর ওয়াইফের অবৈধ সন্তান এই ফুটফুটে সন্তান টি।
এই ফুটফুটে সন্তানটির মা নিজের পাপকে লুকাতে গিয়ে মেরে ফেলতে চেয়েছিলো।আজকে এই সন্তান টি কোটিপতির সন্তান হিসেবে পরিচিত সমাজে।মা,বাবা বোনের আদরের চোখের মণি সে।বাচ্চাটির কথা শুনে ও বাচ্চা টি দেখে মনে হলো একটি কথা যে জন্ম হোক যথাতথা কর্ম হোক ভালো।অন্য জন্মে হয়তো খুব ভালো কাজ করেছিলো আর সেজন্য এজন্মে সে এতো ভালো পরিবার পেয়েছে। জন্ম যে কোন জায়গায় হতে পারে কর্ম হতে হবে ভালো যাতে করে কর্মের মাধ্যমে বেঁচে থাকা যায় এবং মরার পরেও অন্য জন্মে কর্ম ফলের কারণে সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকা যায়। এই ছিলো আমার আজকের গল্প।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
ভেতর টানটান উত্তেজনায় সিনেমার মতো গল্প গো। এমন ঘটনা তো শোনাই যায় না। এমন একজন সন্তান যেমন ঘর পাবে তা খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত। তবে ভগবানের ইচ্ছা থাকলে সব কিছু হয়। এ ঘটনা তারই প্রমাণ। তবে ঘটনাটি পড়তে বেশ ভালো লাগছিল। একটা অন্যরকম উত্তেজনা ছিল গল্পটার মধ্যে।।