পুরাতন মুভি রিভিউ : "অবাক পৃথিবী"

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আমি আপনাদের সাথে একটা পুরাতন বাংলা মুভি রিভিউ শেয়ার করে নেবো। এই মুভিটির নাম হলো "অবাক পৃথিবী"। এই বাংলা মুভিটি ১৯৫৯ সালে উত্তম কুমার অভিনীত একটি মুভি। সেই সময়ে উত্তম কুমারের অতি জনপ্রিয় সিনেমাগুলোর মধ্যে এই মুভিটিও স্থান পেয়েছিলো। অভিনেতাদের অভিনয়ের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত অসাধারণ একটা মুভি। এইসব মুভি দেখলেও মনটা অনেক ভালো লাগে। আশা করি আজকের এই মুভি রিভিউটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে


☬কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:☬

মুভির নাম
অবাক পৃথিবী
পরিচালকের নাম
বিশু চক্রবর্তী
লেখকের নাম
বিধান ভট্টাচার্য
সুরকার
অমল মুখোপাধ্যায়
অভিনয়
উত্তম কুমার, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, অজিত বন্দোপাধ্যায়, তুলসী চক্রবর্তী ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
১৯৫৯ সাল
মূল ভাষা
বাংলা
সময়
১ ঘন্টা ৩৯ মিনিট
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ভারত


✔মূল কাহিনী:


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

মুভির শুরুতে দেখা যায় উত্তম কুমার এবং আরো কিছু লোকজন জেল হাজতের ভিতরে গল্প আর আড্ডা দিচ্ছে। মূলত সবাই পকেট মারার অপরাধে ধরা পড়েছিল। আর ওদের মধ্যে উত্তম কুমারের মুক্তির দিন ছিল তাই সবাই তাকে বিদায় জানাছিল। এরপর জেল থেকে বেরিয়ে একটা কুস্তি লড়াইয়ের ওখানে যায় এবং সেখানে একজন লোকের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে পকেট মারতে যাচ্ছিলো কিন্তু লোকটি বুঝে ফেলেছিলো। লোকটি তাকে চিনতো তাই আলাদা করে ডেকে নিয়ে গিয়ে বলে এইতো ছাড়া পেলে, পেয়েই আবার শুরু করে দিলে!? এইবার তো একটু শুধরাও। এই বলার পরে বলে আমিও এখন ওসব ছেড়ে দিয়ে একটা দোকান দিয়েছি, তাই তুমিও এইসব ছেড়ে ভালো কিছু করার চেষ্টা করো। এরপর এই কথা শুনে উত্তম কুমার একটা অফিসে কাজের জন্য যায় এবং সেখানে তাকে যখন জিজ্ঞাসা করে যে তুমি কি কি পারো? তখন বলে আমি সব পারি যেমন পকেট কাটতে জানি ইত্যাদি আরো অনেক কিছু জানি। অফিসের মালিক এই কথা শুনে তার উপরে প্রচন্ড রেগে যায় আর বেরিয়ে যেতে বলে। এরপর সেখান থেকে আরো একটা অফিসে যায় কিন্তু সেখানেও কোনো চাকরি পায় না। এরপর রাস্তায় বেরিয়ে হাটতে হাটতে হঠাৎ উত্তম কুমারের খিদে পেয়ে যায় এবং সে একটা হোটেলের সামনে কিছুক্ষন ঘোরাঘুরি করতে লাগে। সে ভাবতে লাগে কিছু রুটি চুরি করবে কারণ তার কাছে কোনো পয়সা নেই। হোটেলের মালিকটা ছিল পাঞ্জাব এর এবং সে বিষয়টি লক্ষ্য করেছে। কিছুক্ষন পরে লোকটা উত্তম কুমারকে ডেকে নিয়ে গিয়ে কিছু খাইয়ে দেয় আর বাড়িতে কিছু কিনে নিয়ে যাওয়ার জন্য ৫ টাকা দেয়। সেই ৫ টাকা দিয়ে আবার একটা পরিবারের অনাহারের সময় সাহায্যও করেছিল। এরপর উত্তম কুমার মন খারাপ করতে লাগে কোনো কাজকর্ম না পেয়ে এবং ভাবে এর থেকে জেলে গিয়ে থাকা ভালো। তাই সে কলকাতার রাস্তায় পুলিশের সামনে আবার একজনের পকেট মারার জন্য দৌড়ে যাচ্ছিলো কিন্তু সে পা পিছলে পড়ে যায়।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

উত্তম কুমার জেলে যাওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করতে লাগে, কারণ জেলে গেলে ফ্রিতে খেতে পারবে। যাইহোক সে আবারও একটা ভালো দামি হোটেলে যায় এবং সেখানে সাবিত্রী ও তার বান্ধবীও ছিল। এদিকে উত্তম কুমারের খাওয়া দেখে তারা দুইজন অবাক হয়ে যায়। সে অনেকগুলো খাবার খেয়ে ফেলে এবং ওয়েটার যখন তার কাছে বিলটা দেয় তখন বিলে ৬ টাকা দেখে বলে তোমার ম্যানেজার কে ডাকো। এই কথা শোনার পরে ওয়েটার বললো যা বলার আমাকে বলো,তখন উত্তম কুমার বললো ওনাকে ডাকো আমি ওনার বন্ধু হই। এরপর ম্যানেজার আসলে বলে আমার কাছে পয়সা নেই তখন ম্যানেজার শুনে রেগে যায়। এইসময় উত্তম কুমার বলে থানায় ফোন করে আমাকে ধরিয়ে দিন। উত্তম কুমার মানে দারুন একটা রসিকতা শুরু করেছিল সেখানে । যাইহোক এরপর সাবিত্রী ম্যানেজার কে ডেকে বলে যে ও একটা পাগল, ছেড়ে দিন না হলে বিপদে পড়বেন। এরপর ম্যানেজার তাকে চলে যেতে বলে এবং তখন উত্তম কুমার বলে কালকে যদি আবার খেতে আসি তখন কি হবে, ম্যানেজার তখন তাকে ২ টাকা দিয়ে বলে কালকে দাদা অন্য জায়গায় হামলা করো। এদিকে সেই দুই টাকাটা যেন আবার কে চুরি করে নেয় রাতে। একজন ভদ্র মহিলা একটা দোকান থেকে বেরোনোর সময় হোঁচট খেয়ে পড়ে যাচ্ছিলো এবং সেই সময় উত্তম কুমার তাকে ধরে পড়ার হাত থেকে বাঁচিয়েছিলো কিন্তু সেই ভদ্র মহিলাটি তাকে থাপ্পড় মেরে ছোট লোক, ইতর আর বাজে বাজে কিছু কথা শুনিয়ে ধাক্কা মেরে চলে যায় সেখান থেকে। এরপর সেখানে একজন মহাজনের দোকানের কাঁচ ঢিল মেরে ভেঙে দেয় আবার জেলে যাওয়ার জন্য। কিন্তু সেটাও হয় না, তাকে আবারও তারা পাগল ভেবে ছেড়ে দেয় এবং দুই টাকা দিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলে। এরপর দোকানে বাকি থাকা পয়সাটা মিটিয়ে দিয়ে চলে আসে।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

উত্তম কুমার রাস্তার পাশে একটা স্কুল দেখতে পায় এবং সেখানে স্কুলের ফাদার কে দেখতে পেয়ে বলে আমি একটা কাজ খুঁজছি, তাই যদি আপনি কিছু কাজ দিতেন ভালো হতো। ফাদার তাকে যখন জিজ্ঞাসা করে যে কি কি কাজ তুমি করতে পারবে যেটা স্কুলের কাজে আসবে। তখন বলে আমি আসলে একজন পকেট মার কিন্তু আমি ভালো হতে চাই, ভালো কাজ পেলে অবশ্যই ভালো হয়ে যাবো। তখন ফাদার তাকে স্কুলের দারোয়ানের একটা ঘরে থাকতে বলে রাতটুকু। পরেরদিন সাবিত্রী অর্থাৎ সে এই স্কুলের সিস্টার। যাইহোক সে স্কুলে আসার পরে ফাদার যখন সবার সামনে উত্তম কুমারকে বাচ্চাদের দেখাশোনার দ্বায়িত্ব দিতে চাইলো তখন সাবিত্রী দ্বিমত করে কারণ তাকে কোনোকিছুর জন্য যোগ্য মনে করে না সে। তারপরও ফাদার উত্তম কুমারকে ডেকে ফাইনালি বলে দেয় যে আজকের থেকে তোমার কাজ বাচ্চাদের দেখাশোনা এবং ওই ঘরটিতেই আজ থেকে তুমি থাকবে। এরপর উত্তম কুমার বাচ্চাদের ডাঙ্গুলি বলে একটা খেলা শেখাতে থাকে এবং সেখান দিয়ে সাবিত্রী যাচ্ছিলো আর তার পায়ে গিয়ে লাগে হঠাৎ করে। এরপরে উত্তম কুমার কে ফাদার ডেকে পাঠায় এবং এই ডাঙ্গুলি খেলা বাদে আরো অন্যান্য খেলা শেখাতে বলে আর গান শেখাতে বলে। এরপর বাচ্চাদের সে গান শেখায় কিন্তু সে আগে যে পেশা করতো তার উপর এই গানটা শেখায় আর এটা কারো পছন্দ হয়নি। ফলে ফাদার তাকে ডেকে একটু গালিও দেয়, কারণ এই গান শুনে রেগে যায় খুব ।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

ফাদার উত্তম কুমারকে বোকা দিয়েছে বলে বাচ্চারা একটু মন খারাপ করে এবং তাদের মনে হতে লাগে যে সে স্কুল ছেড়ে চলে যাবে। এরপর স্কুলের ফাদার এর কাছে একটা গানের বই আছে বলে বাচ্চারা সেই বইটা ফাদার কে না জানিয়ে তার ঘরের থেকে নিয়ে উত্তম কুমারকে দেয়। ফাদার সেইটা দেখে ফেলে আর উত্তম কুমারকে গিয়ে দোষারোপ করে যে তুমিই তাহলে ওদের এইভাবে আনতে পাঠিয়েছিলে। আমাকে তো বলতে পারতে যে আমার এই বইটা লাগবে। এরপর উত্তম কুমার রাতের বেলা একা একা নির্জনে বসে সুন্দর একটা গান গাইতে থাকে আর এই গান শুনে ফাদারকে অনেকটা খুশি অনুভব করতে দেখা যায়। এরপর বাচ্চারা উত্তম কুমারকে একটার পরে একটা প্রশ্ন করছে কিন্তু কোনোকিছুর উত্তর দিতে পারছে না, শুধু একে-ওকে বলতে বলছে। এদিকে সাবিত্রী সেইটা শুনে মনে মনে হাসতে লাগে। এরপর স্কুলে ক্লাস এর ঘন্টা পড়ে গেলে বাচ্চারা সবাই চলে যায় এবং সাবিত্রী তখন উত্তম কুমারকে কিছু বই পড়ার জন্য দিয়ে যায়। এদিকে উত্তম কুমার ক্লাস এর পরে বাচ্চাদের কুস্তি শেখাতে লাগে। এরপর হঠাৎ করে স্কুলে একজন ছাত্র এর নামে তার বাড়ির থেকে অভিযোগ আসে যে সে বাড়িতে কারো কথা শুনতে চায় না এবং যেখানে সেখানে না বলে চলে যায়। আর এইটা নিয়ে স্কুলে ফাদার আর সিস্টার দের নিয়ে মিটিং হয় আর সবাই বলতে লাগে উত্তম কুমারকে তার দ্বায়িত্ব থেকে বাদ দেওয়া উচিত কিন্তু তারপরও হেড ফাদার রাজি হয় না। এর মধ্যে বাচ্চাদের নিয়ে উত্তম কুমার একটা দারুন গান গায় এই বিষয়ের উপরে এবং ফাদার তখন অন্যান্যদের কাছে শুনতে চায় যে এরপরও আপনারা বলবেন যে তাকে বাদ দেওয়ার কথা।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

বাচ্চাদের স্কুল ছুটি হয়ে যাওয়ার পরে সবাই যার যার বাড়িতে চলে যাবে বলে তৈরি হচ্ছিলো কিন্তু টুকাই নামে ছোট একটা বাচ্চা উত্তম কুমারকে ছাড়া যাবেই না বলে জেদ ধরে বসলো। ফাদার যখন সবাইকে স্কুলের বাসে করে বাড়িতে পৌঁছিয়ে দিতে যাচ্ছিলো তখন সবাই বাসে উঠে গেলেও টুকাই বালকটি আর ওঠে না কারণ উত্তম কুমারের ছাড়া সে মোটেই যাবে না। এরপর ফাদার উত্তম কুমারকে বলে তাকে বাড়িতে এগিয়ে দিয়ে আসতে। এরপর উত্তম কুমার তাকে বাড়িতে এগিয়ে দিয়ে আসতে যায় এবং বাড়ির কাছে গিয়ে যখন বলে আমি এখন চলে যাবো তখন টুকাই বালকটি বড্ডো জেদ ধরে যে আমার সাথে তোমার থাকতে হবে না হলে আমি আবার তোমার সাথে স্কুলে ফিরে যাবো। রাস্তায় বালকটির কান্না শুনে পুলিশ গিয়ে উত্তম কুমারকে ধরে নিয়ে আসে এবং কোর্টে তোলে। তারপর উকিল মহাশয়রা পুলিশটির কাছ থেকে বয়ান নিতে থাকে। বিপক্ষ উকিল মহাশয় বিভিন্ন কথার ঘুর-প্যাঁচের মাধ্যমে ছেলে ধরার অভিযোগ তৈরি করার প্রস্তুত করে। তবে শেষ মুহূর্তে সেই টুকাই বালকটি এসে সবকিছু বলে দেয় আর সবার কাছে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায় এবং তাকে ছেড়ে দেয়।


✔ব্যক্তিগত মতামত:

উত্তম কুমার অভিনীত এই মুভিটি অনেক সুন্দর একটা মুভি। এই মুভিটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। মুভির কাহিনীটা একদম মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো। একজন খারাপ কাজের থেকে বেরিয়ে কিভাবে ভালো কাজের মাধ্যমে নিজেকে পরিবর্তন করা যায় সেটার দৃষ্টান্ত উদাহরণ এই মুভির মাধ্যমে সে তুলে ধরেছে। যে একজন পকেটমার করে বেড়াতো সবসময় সে একটা ভালো কাজ পেয়ে সভ্য সমাজে ভদ্র মানুষের মতো হয়ে উঠলো। আসলে আমাদের চারিপাশের পরিবেশ অনেক সময় খারাপ কাজে নিয়ে যেতে পারে আবার ভালো কাজের মাধ্যমে সেটাকে শুধরেও নেওয়া যায়। এইধরণের সিনেমা না দেখলে বোঝাই যায় না যে কাহিনীর আসল রহস্য কি। এইসব সিনেমা একদম খাঁটি সিনেমা। এই মুভিটিতে বেশ মজার কাহিনীও আছে।


✔ব্যক্তিগত রেটিং:
৯/১০


✔মুভির লিঙ্ক:


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 3 years ago 

সত্যিই এটি কঠিন কাজ।ভালো থেকে মানুষ দ্রূত খারাপ হতে পারে কিন্তু খারাপ থেকে ভালো কাজে মনোনিবেশ করা কষ্টসাধ্য।মুভিটি খুবই ভালো রিভিউ করেছেন।উত্তম কুমার সবারই প্রিয় অভিনেতা।ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 years ago 

এটাই জীবনের বাস্তবতা। ভালো থেকে খারাপ হতে বেশি সময় লাগে না কিন্তু সেই পথের থেকে সঠিক অবস্থানে আসতে অনেক কষ্ট করা লাগে। আর উত্তম কুমার তো আজও সবার মাঝে সেরা অভিনেতা।

 3 years ago 

দাদা অবাক পৃথিবী মুভিটি, আপনি খুবই সুন্দরভাবে রিভিউ করেছেন। এই মুভিটি আমি দেখেছি। আসলে উত্তম কুমারের অভিনয় মানে সবচাইতে সেরা এবং অনেক আনন্দময়।আমি এই মুভিতে উত্তম কুমারের অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছি। আপনি খুবই সুন্দরভাবে মুভি রিভিউ করেছেন। যখন রাস্তা টোকাই ছেলেটি উত্তম কুমারের ছাড়া যাবেনা। তখন উত্তম কুমার এই বাচ্চাটিকে নিয়ে যাচ্ছিল কিন্তু ভুল বসতো পুলিশ তাকে ছেলেধরা হিসেবে ফেঁসে যান।যার কারণে তাকে নানান রকমের ঝামেলায় পরতে হয়। তবে শেষ মুহূর্তে যদি ছেলেটি সত্য না বলতো তাহলে উত্তম কুমারের অনেক কঠিন শাস্তি হতো। তাই খুবই ভালো লেগেছে যখন ছেলেটি সত্য কথা বলে দিয়েছ। এটা আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনি খুবই সুন্দরভাবে রিভিউ করেছেন। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইলো।

 3 years ago 

হ্যা তার মতো অভিনয় আসলে হয় না। সাদা-কালো পর্দায় পুরো কাঁপানো অভিনয় তার। সবাই একসময় তার অভিনয় দেখার জন্য পাগল হয়ে যেত। ছোটো এই বাচ্চাটার আসলে এই কাহিনীতে উত্তম কুমারের সাথে বেশ মানিয়েছিল। অসাধারণ একটা মুভি বলতে গেলে।

 3 years ago 

দাদা এতো পুরান মুভি , আমার মনে হয় আপনি অনেক পছন্দ করেন এই ধরণের মুভি গুলা। তবে আমার কাছে ও ভালো লাগে এই ধরণের মুভি গুলা। কারণ এখনকার বাংলা মুভি থেকে অনেক অনেক বেশি ভালো ছিল এই মুভির চরিত্র গুলা। অনেক সুন্দর কাহিনী এই মুভিটির। অনেক ধন্যবাদ দাদা এতো সুন্দর ভাবে এই মুভি রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 3 years ago 

পুরানো মুভি আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে। এখনকার নতুন মুভি দেখিনা বেশি। উত্তম কুমারের সময়ের মুভিগুলো সব জায়গার চরিত্র তুলে ধরতো আর এখন একটা কাহিনীকে প্যাঁচিয়ে লম্বা করে কিন্তু তাও এইসব মুভির কোয়ালিটির ধারে কাছে আসতে পারে না।

 3 years ago 

বাহ দাদা আপনি দারুন একটি মুভি আমাদের মাঝে রিভিউ করেছেন। এই মুভিটির মধ্য বাস্তব জীবনের চিত্র ফুটে উঠেছে। বিশেষ করে একজন মানুষ খারাপ কাজ ত্যাগ করে কিভাবে ভালো কাজের মাধ্যমে তার জীবনকে সাজিয়ে তুলতে পারে সেই বিষয়টি এই মুভির মাধ্যমে আমি বুঝতে পারলাম। মুভিটির কাহিনী আমার কাছে অনেক ইউনিক লেগেছে আমি ব্যক্তিগতভাবে এসব মুভি গুলো অনেক ভালোবাসি । পুরনো মুভি গুলো পুরনো কাহিনী আমার অনেক প্রিয় ,‌ধন্যবাদ দাদা এমন সুন্দর এবং আকর্ষণীয় একটি মুভি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 3 years ago 

আসলে এইসব মুভিগুলো দেখে বোঝা যায় শেষে না যে মনের মতো কোনো কাহিনীর অবলম্বনে একটা মুভি দেখলাম। এইসব মুভির মধ্যে একটা বাস্তবতার চিত্র ফুটে ওঠে। আমার কাছেও এইসব মুভি অনেক প্রিয়।

 3 years ago 

উত্তম কুমারের ফিল্ম অনেকগুলো দেখেছি। বাবা আগে এই ফিল্মগুলোর ক্যাসেট নিয়ে আসতো।তখন ভিসিপির যুগ ছিল। ডাইরিতে ফিল্মের নাম গুলো লিখে রাখত। অবাক পৃথিবী দারুন একটি বাংলা মুভি। যতবারই দেখি না কেন আবারো দেখতে ইচ্ছে করে। ধন্যবাদ দাদা ভালো থাকবেন।

 3 years ago 

দাদা আমি আজ থেকে প্রায় 5 মাস আগে এই মুভিটি দেখেছি। এই মুভিটিতে উত্তম কুমার এবং সাবিত্রী অসাধারণ অভিনয় করেছিলেন। আমার অনেক অনেক ভালো লেগেছিল এই মুভিটি দেখে। আর আজ আপনার এই মুভি রিভিউ টি পড়ে আরো বেশি ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা অতি সুন্দর সিনেমা অবাক পৃথিবী মুভি রিভিউ করে আমাদের উপহার দেয়ার জন্য।