Better life with steem || The Diary Game || 5th June, 2024 ||
Hello,
Everyone,
সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় আবারও নতুন একটি দিন দেখার সুযোগ পেলাম। আশা করি সকলেই ভালো আছেন ।সকলের আশীর্বাদ নিয়ে আমিও ভালোই আছি এবং একটু ব্যস্ততার ভিতরে আছি ।মায়েদের ব্যস্ততা কখনোই কমে না ।সন্তান ছোট থাকুক কিংবা বড় হোক, সব সময় মায়েদের একটি বাড়তি চিন্তা থেকে যায়।
সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে এক কাপ চিনি ছাড়া লিকার চা করে নিলাম ।আদা চায়ের সাথে দু পিস ড্রাই কেক নিলাম । সকাল সকাল এক কাপ লিকার চা পেলে আমার আর কিছুই চাই না ।আমি বরাবরই লেবু চা এবং আদা চা এ দুটোই পছন্দ করি ।
আমি চা একদমই খেতাম না তবে ২০২০ সালে যখন থেকে "করোনা" শুরু হলো তখন থেকেই চা খাওয়ার অভ্যাসটা তৈরি হয়েছে ।সেটা আজও ছাড়তে পারিনি তাই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে চিনি ছাড়া এক কাপ চা হলেই আমার চলে যায়, তাতে সারাদিনের এনার্জি পেয়ে থাকি।
আজ আমার মেয়ের কলেজের ভর্তির ব্যাপারে কিছু কাজ ছিল । সকালে রান্নার কাজটা আগেই সেরে নেই তার সাথে কিছু আচারও তৈরি করতে হবে । নানা ব্যস্ততার কারণে এবার এখনো আমের আচার তৈরি করা হয়নি ।মামনি অনেক বার বলছিল কিন্তু করতে পারছিলাম না ।
আজকে যতকাজ থাকুক না কেন আচার তৈরি করতেই হবে , অল্প কিছু হলেও তৈরি করতে হবে। তবে রোদে দিয়ে আচার তৈরি করাটা আমার কাছে অনেক ঝামেলার মনে হয় তাই আমি চেষ্টা করি রোদ ছাড়া আচার তৈরি করা যায় এবং বেশিদিন সংরক্ষণ করা যায়।
আর্মি বাবু আচার ততটা পছন্দ করেনা কিন্তু আমার এবং মেয়ের আচার চাই। কলেজে যাবার আগে আমি কাঁচা আমগুলো ধুয়ে কেটে নিয়েছিলাম এবং লবণ মাখিয়ে রেখে দিয়েছি ।আমরা ১১টার দিকে বের হই । কলেজের কাজ শেরে আমাদের প্রয়োজনীয় কিছু কাজ ছিল সেগুলো করতে আমাদের অনেক সময় লেগেছে ।
আমাদের বাসায় আসতে তিনটা বেজে গেল। বাহিরে এতটাই গরম এবং ঢাকা শহরের জ্যাম এ নিয়ে কষ্টের শেষ নেই ।তবে মেট্রোরেল চালু হওয়ায় অনেকটা শান্তিতে যাতায়াত করা যায় । একটি সমস্যা হল এখন পর্যন্ত সমস্ত জায়গায় মেট্রোরেল সংযোগ দিতে পারেনি তাই কিছু কিছু স্থানে বাধ্য হয়ে সিএনজি অথবা বাসে করে যাতায়াত করতে হয় ।
বাসায় এসে অনেক ক্লান্ত লাগছিল তাই প্রথমে ফ্রেশ হয়ে দুপুরে খাবার সেরে নেই ।এখনো মেয়েটাকে খাবার মেখে দিতে হয় । সে এত বড় হয়ে গেছে কিন্তু মা ভাত মেখে না দিলে খাবার খেতে পারে না ।প্রতিদিন একই রুটিন তার । খাবার খেয়ে কিছুটা সময় বিশ্রাম নেই ।
মার্কেট থেকে আসার পথে কিছু ঢাকার বিখ্যাত ”বাকরখানি” নিয়ে আসি । একখানা বাকরখানি দশ টাকা করে । বাকরখানির সাথে গাঢ় লিকারের দুধ চা খুবই ভালো লাগে। তবে বাকরখানি আমি কখনোই খাইনি। আজ প্রথম খেলাম , সত্যি খেতে অসাধারন।
এরপরে আচার তৈরি করতে শুরু করি । লবন মাখা কাচাঁ আম গুলো ভালো করে পানি ঝরিয়ে নিলাম। যেহেতু লবণ মাখিয়ে রেখেছিলাম তাতে আমের কস এবং টক ভাবটা পানির সাথে বেরিয়ে গেছে । এই আচার তৈরি করতে আমি কোন পানি ব্যবহার করবো না এবং রোদে দিবোনা ।
আচার তৈরি উপকরণগুলো নিচে তুলে ধরলাম :
১. দেড় কেজি কাঁচা আম,
২. শুকনো মরিচ যে যতটা ঝাল পছন্দ করে,
৩. পাঁচ ফোড়ন মসলা পরিমাণ মতো ,
৪. চিনি পরিমাণমতো,
৫. সরিষা বাটা,
৬. লবণ পরিমাণ মতো,
৭. ভিনেগার
৮.আদা বাটা ১ চা চামচ ,
৯.সরিষার তেল ১ কাপ ও
১০.রসুন খোসা ছাড়ানো
আচার তৈরি প্রণালী:
পাঁচফোড়ন গুলো হালকা ভেজে গুঁড়ো করে নিতে হবে। শুকনো মরিচ হালকা ভেজে গুঁড়ো করে নিলাম এবং সরিষা গুলো কিছু সময় পানিতে ভিজিয়ে রাখবো ,ভালো করে ধুয়ে নিয়ে পানি ঝরিয়ে নিব এবং ভিনেগার দিয়ে বেটে নিব। এই আচারে কোন পানি ব্যবহার করব না ।
ননস্টিক কড়াই ইন্ডাকশনে বসিয়ে দিলাম ।কড়াই গরম হলে এক কাপ পরিমাণ সরিষার তেল দিয়ে দিলাম। তেল গরম হলে তাতে দুটো শুকনো মরিচ ভেঙে দিলাম । কিছু গোটা পাঁচফোড়ন দিয়ে দিলাম এবং কিছু রসুন ছেড়ে দিলাম ।এগুলো ভালো করে ভেজে নিলাম । পানি ঝরানো আমগুলো দিয়ে দিলাম।
আম গুলো তেলের সাথে অনেকক্ষণ কষিয়ে নিলাম ।আমগুলো কষানোর পরে চিনি দিয়ে দিলাম। একটু টক, ঝাল ও মিষ্টি আচার করতে চাচ্ছি । একটু হলুদের গুঁড়ো দিলাম ,অল্প কিছু পাচঁফোড়নের গুড়ো দিলাম এবং কিছু মরিচের গুঁড়ো দিলাম ।পরিমান মত চিনি দিলোম ।সব উপকরণ ভালো করে নেড়েচেড়ে দিতে হবে।
-- | -- |
এভাবে কিছু সময় নাড়তে হবে এবং লক্ষ্য রাখতে হবে যেন কড়াই সাথে না লেগে যায় ।নেড়েচেড়ে আম গুলো ভেঙ্গে দিলাম ।যেহেতু আমের সাথে আমি আগেই লবণ মাখিয়ে নিয়েছিলাম তাই একটু চেক করে প্রয়োজনমতো লবণ দিয়ে নিব।
যখন আম গুলো কষানো হয়ে গেলে তখন সরিষা বাটা দিয়ে দেব এবং এক কাপের মতো ভিনেগার দিব। আরও ৩০ মিনিট ধরে মৃদু জ্বালে রান্না করব । আচার হয়ে আসলে নামানোর আগে আমি আবার সেই পাঁচফোড়ন এবং শুকনো মরিচের গুড়ো দিয়ে দিব। তৈরি হয়ে গেল আমার টক, মিষ্টি ও ঝাল সুস্বাদু আচার।
আচার তৈরি করতে করতে আমার রাত প্রায় ১১টা বেজে গেল্। আচার তৈরি করার মাঝে ওদেরকে রাতে খাবার দিয়ে দিলাম ,সঙ্গে আমিও খাবার খেয়ে নিলাম। ওরা ঘুমিয়ে পড়ল আর আমি আচার তৈরি করছিলাম ।
আচার তৈরি করার শেষে আমার দিনলিপি নিযে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে ল্যাপটপে বসে পরলাম। এভাবেই কেটে গেল আমার আজকের দিনটি ।আশা করি আপনাদের দিনগুলো ভালো কেটেছে । ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন । শুভরাত্রি
আপনারা আচার বানানো রেসিপি টা অনেক সুন্দর নেক্সট বাসায় গেলে আম্মুকে বলব এভাবে আচার তৈরি করার জন্য, পোস্ট পরে জানতে পারলাম আপনি সকালবেলা এক কাপ চা হলেই আর কিছু লাগে না। সারাদিন এনার্জি পেয়ে যান। আপনার মতন আমি এত চা খাওয়া হয় নাই সারাদিনে এক কাপ চা খাওয়া হয়। ধন্যবাদ আপু আপনার পোষ্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
আমের আচার তৈরি করার উপযুক্ত সময় হলো এখন তাই আপনার আম্মুকে দ্রুতই আমের আচার তৈরি করতে বলেন।
কাঁচা আম আর বেশিদিন কাঁচা থাকবে না, পেকে যাবে তখন আর আচার তৈরি করলে ভালো লাগবে না। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
এখন তো বাড়িতে যাওয়া সম্ভব না ঈদের ছুটিতে যাব তারপরে আম্মুকে বলা লাগবে ততদিন পর্যন্ত জিবে পানি নিয়ে থাকতে হবে। যদি মনে চায় তাহলে আপনার পোস্টে ছবিটা দেখে নিজেকে সান্ত্বনা দিতে হবে। ধন্যবাদ
চায়ের সাথে আদা খাওয়া খুব উপকারি। তবে চিনি ছাড়া চা আমি খেতেই পারি না। যদিও অনেকে এটা খুব পছন্দ করে। করোনার আসার সাথে সাথে আপনার চা খাওয়ার অভ্যাস তৈরি হয়েছে। আজ আপনি বাসায় আচার তৈরি করেছেন এবং সেটার উপকরণসহ খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ভালো থাকবেন।
আমি বরাবরি মিষ্টি পছন্দ করি না । সকাল সকাল মিষ্টি দিয়ে চা খেতে আমারও ভালো লাগেনা। চিনি ছাড়া চা খেতে আমি বেশি পছন্দ করি। যেহেতু আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য এটি খুবই উপকারী।
আমরা একটু সচেতন হলে আমাদের এই জীবনটাকে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে নিতে পারি এবং সুস্থ থাকতে পারি। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
দিদি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার দিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে ভাগ করার জন্য। দিনটি আপনি কর্মব্যস্ততায় কাটিয়েছেন। আপনার দিনটি শুরু হয়েছিলো এক কাপ চিনি ছাড়া লিকার চা খাওয়ার মধ্য দিয়ে। সত্যি বলতে আমি লিকার চা একদম খেতে পারি না। আমিও আগে চা খেতাম না। অনার্স লাইফে যখন টিউশনি করাতাম তখন থেকেই চা খাওয়ায় অভ্যস্থ হয়ে যাই। যাইহোক আপনি আজ ব্যক্তিগত কাজে এবং আপনার মেয়ের কলেজে ভর্তির বিষয়ে বাইরে অনেক সময় পার করেছেন। ঢাকা শহরের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে ভাগ করেছেন। এই গরমে মেট্রোরেল কিছুটা হলেও আমাদের শান্তি দিচ্ছে। তবে সব যায়গায় চালু হলে মনে হয় আরো ভালো হতো।
দিদি এছাড়াও আপনি আমাদের আমের আচাড় বানানোর পুরো প্রক্রিয়া দেখিয়েছেন। আমের আচার আমার ভীষণ পছন্দ। আমার স্ত্রীকে বলেছি বানাতে। কিন্তু সে এখন পর্যন্ত সময় করে উঠতে পারেনি। তবে খুব শীঘ্রই বানাবে বলেছে।
যাইহোক দিদি ভালো থাকবেন। আপনার আগামী দিনগুলো সুখের হউক সেই কামনা করছি।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে আপনি চিনি ছাড়া রং চা খাওয়ার অভ্যাস আছে। আসলে এভাবে চিনি ছাড়া রং চা খাওয়া শরীরের জন্য ভালো। যাইহোক সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই বাড়ির কাজকর্ম সেরেছেন। কারণ আপনার মেয়ের কলেজে ভর্তির ব্যাপারে কিছু কাজ আছে।
অনেক সুন্দর আমের আচার বানিয়াছেন। আমের আচার গুলো দেখেই যেন লোভ লেগে গেল।
সারাদিনের মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
এই সময় আমের আচার বাড়িতে তৈরি না হলে কেমন যেন অসম্পূর্ণ লাগে। তবে এবছর আমাদের বাড়িতে এই অসম্পূর্ণতা রয়েই গেলো। আসলে গত বছরের আচার এখনও ফ্রীজে আছে, তাই এইবার আমিই বারন করেছি। শশুর মশাই সবথেকে বেশি আচার খেতেন, তার এখন যা শরীরিক পরিস্থিতি তাতে আচার খাওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ। যাইহোক আপনি খুব সুন্দর ভাবে আচার তৈরীর পদ্ধতি বর্ননা করছেন, তারজন্য ধন্যবাদ। সারাদিনের ব্যস্ততার পরেও বাড়িতে ফিরে কতো ধৈর্য্য সহকারে আপনি আচার তৈরি করেছেন জেনে ভালো লাগলো। আশাকরি আচার খেতেও অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনার সারাদিনের কার্যাবলী এতো সুন্দর ভাবে বর্ননা করার জন্য। ভালো থাকবেন।