সেমাই রান্না রেসিপি
কেমন আছেন আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও অনেক ভালো আছেন।
আজকে আপনাদের সাথে আরো একটি মজার খাবার শেয়ার করবো।এই খাবার ঈদ ছাড়া তেমন একটা খাওয়া হয়না।গত সপ্তাহে বাড়িতে যাওয়ার পর ভিশন সেমাই খেতে ইচ্ছে করছিল। সেই ইচ্ছা করা থেকে আম্মু কে বললাম বাসায় সেমাই আছে নাকি। আম্মু বললো যেটা আছে সেটা ভালো নেয়।বাজার থেকে আনতে হবে। তারপর বাজারে গিয়ে ভালো দেখে সেমাই নিয়ে এসে রান্না করে খেলাম। গতবছর ঈদের মধ্যে খাওয়ার পর আর খাওয়া হয়নি। এতো দিন পরে দেখে অনেক মজা লেগেছিল।আর আমার কাছে ঠান্ডা সেমাই পায়েস ভালো লাগে।এই জন্য রান্না করার পর ফ্রিজে রেখে কিছুক্ষণ পর খাওয়া হয়। এতে মজাটা একটু বেশি লাগে। সবার কাছে কেমন লাগে সেটা জানি না। কিন্তু আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক আজকের সেমাই রান্না রেসিপি:-
প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহ:-
১. সেমাই।
২. চিনি।
৩. সয়াবিন তেল।
৪. সাদা এলাচ।
৫. কালো এলাচ।
৬. দারুচিনি।
৭. লবণ।
প্রস্তুত প্রণালী সমূহ:-
ধাপ:-০১
প্রথমে একটি কড়াইয়ে তেল দিয়ে সেমাই গুলো দিয়ে দিব।
ধাপ:-০২
এবার সেমাইটা ভালোভাবে ভেজে নিব।
ধাপ:-০৩
এবার একটি পাতিলে পরিমাণ মতো দুধ দিয়ে দুধ ঝাল দিব।
ধাপ:-০৪
এখন এতে গরম মসলা দিয়ে দিব।
ধাপ:-০৫
পরিমাণ মতো চিনি এবং এক চিমটি লবণ দিয়ে দিব।
ধাপ:-০৬
এবার দুধটা ভালোভাবে ফুটলে এতে ভেজে রাখা সেমাই গুলো দিয়ে দিব।
ধাপ:-০৭
সেমাই দেওয়ার পর কিছুক্ষণ ভালোভাবে সেমাই টা সিদ্ধ করে নিব।
ধাপ:-০৮
এইতো হয়ে গেল আমার আজকের সেমাই রান্না রেসিপি। আশা করি আমার আজকের সেমাই রান্না আপনাদের পছন্দ হয়েছে। পরবর্তীতে আবারও আসবো নতুন কিছু নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকবেন এবং ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ জানাচ্ছি সবাইকে।
ফটোমেকার | @engtariqul |
---|---|
ডিভাইস | শাওমি রেডমি নোট ৭ |
আমি তারিকুল ইসলাম। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি সিভিল ইন্জিনিয়ার থেকে পড়াশোনা শেষ করেছি।
আমি ভ্রমণ এবং ঘোরাঘুরি করতে ভিশন পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি করতে ভিশন ভালো লাগে। ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে, এবং ডাই বানাতে পছন্দ করি।
ঠিকই বলেছেন সেমাই পায়েস এগুলো ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনি তো দেখি অনেকদিন পর সেই সেমাই খেয়েছেন। আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে । সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনি ঠিক ই বলেছেন মিষ্টি জিনিস মাঝে মাঝে ঠান্ডা খেতে ভারি মজা। যেমন ঠান্ডা সেমাই, ঠান্ডা রসমালাই।আর এত ইজি স্টেপে আপনি রেসিপি টি শেয়ার করেছেন যে আমারও এখন সেমাই বানিয়ে খেতে ইচ্ছে করছে।আমি অবশ্য কিশমিশ যোগ করি।আপনাকে ধন্যবাদ আমাদের সাথে আপনার সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমার ছেলে সেমাই খেতে খুবই পছন্দ করে তারজন্য দু-এক দিন পর পরই সেমাই রান্না করা হয়। আমার কাছেও সেমাই খেতে অনেক ভালো লাগে। ঘন দুধ দিয়ে সেমাই খেতে খুবই ভালো লাগে। আমি নারিকেল দিয়ে বেশি পছন্দ করি কিন্তু ছেলে ছোট বলে রান্না করা যায় না। তাদের হজম শক্তি কম বলে খাওয়ানো নিষেধ। আপনি খুব সুন্দর ভাবে সেমাই রান্নার রেসিপি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আসলে ভাই আমি নিজেও সেমাই অথবা পায়েস সেগুলো আগে ফ্রিযে রাখতে বলি তারপর খেতে দিতে বলি। কারণ এগুলো গরম গরম খেতে তেমন একটা মজা পাই না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সেমাইয়ের রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
সেমাই আমার খুবই প্রিয় একটি খাবার। আপনি খুবই চমৎকারভাবে এই রেসিপিটা করেছেন। কিন্তু সেমাই আমি ঠান্ডা করে খেতেই সবচেয়ে বেশি ভালবাসি। বাজার থেকে দেখে ভালো সেমাই এনে রান্না করে খেলেন। আন্টিকে বলে আমার জন্য বানিয়ে আমাকে দাওয়াত করবেন ভাই। দেখে মনে হচ্ছে খুব সুস্বাদু হয়েছে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ঈদ ছাড়া সেমাই খুব একটা খাওয়া হয় না। তবে মাঝে মাঝে কিন্তু খেতে ভালই লাগে। আসলে সেই রকম ভাবে কখনো তৈরি করা হয়ে ওঠে না। যাইহোক আপনি বাসায় গিয়ে সেমাই রান্না করে খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।
বাহ্ আপনি তো আমার পছন্দের একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আজ ভাইয়া।আমার বাসায়ও এভাবেই সেমাই রান্না করা হয় থাকে প্রায়ই।আপনার রান্নার মতো করেই আমি সেমাই রান্না করে থাকি বাসায়।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মিষ্টান্ন রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
যেহেতু আমি মিষ্টি খাওয়া পছন্দ করি, তাই যে কোন মিষ্টি জাতীয় খাবার দেখলে মাথায় কাজ করে না।দুধ দিয়ে সেমাই রান্না করলে খেতেও অনেক সুস্বাদু লাগে। আপনার রেসিপির কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে কতটা সুস্বাদু হয়েছে। সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করবার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই।
দারুন ভাইয়া। সেমাই আমারও খুব পছন্দ।তবে আমার জর্দ্দা সেমাই বেশি ভাল লাগে। আপনি তো খুব মজা করে সেমাই রান্না করলেন। দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। 😋হে,আমিও আপনার মত ঠান্ডা হলে খেতে বেশি পছন্দ করি।মজার রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
মাঝে মধ্যে বিকেলের নাস্তায় সেমাই খেতে বেশ ভালোই লাগে। ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে সেমাই অথবা পায়েস খেতে আমারও খুব ভালো লাগে ভাই। আপনার রেসিপিটা দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুব মজা হয়েছে। রেসিপিটা শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।