বন্ধুরা,
আশা করছি যথারীতি সবাই ভালো আছেন এবং সময়গুলোকে উপভোগ্য রাখার চেষ্টা করছেন। আমি আমার মতো করে সময়গুলোকে উপভোগ্য রাখার চেষ্টা করি। কখনো চিল মোডে থেকে, কখনো মন খারাপ করে, কখনো সবুজ প্রকৃতির মাঝে বসে আমার কখনো রান্না ঘরে ঝড় তোলে। তবে যখন মন খারাপ থাকে তখন সময়গুলোকে উপভোগ্য করতে পারি না, কারন আমরা খুব বাজে একটা অভ্যেস আছে। হ্যা, সবাই এটাকে বাজে অভ্যেস বললেও আমি সেই ছোট বেলা হতেই এই কাজডা করে আসছি, হয়তো বভিষ্যতেও করার চেষ্টা করবো। দেখুন প্রতিটি মানুষের নিজস্ব একটা বৈশিষ্ট্য থাকে, এই বিষয়টি সেই রকমই কিছু কিন্তু কেন জানি আমার পরিবারের সবাই সেটা এখনো মেনে নিতে পারছে না।
যখন খুব বেশী মন খারাপ হয় আমার, আমি কারো সাথে কোন কথা বলি না। যতক্ষণ সময় মন খারাপ থাকে ততোক্ষণ পর্যন্ত আমি এখানে এবং সকলের নিকট হতে বিচ্ছিন্ন থাকতে পছন্দ করি। আমি আনমনে নিরব পথে হাঁটতে পছন্দ করি, আমি নির্জীব দেহ নিয়ে প্রকৃতির মাঝে বসে থাকতে পছন্দ করি, নিজের সাথে নিজে একটা যুদ্ধে জড়িয়ে যাই। প্রশ্নের পর প্রশ্ন, পাওয়া-না পাওয়ার যোগফল ইত্যাদি ইত্যাদির সমাধান নিজেই করার চেষ্টা করি। তবে আরো একটা বিষয় আছে, দাঁড়ান বলেই দিচ্ছি আজ। কখনো কি বৃষ্টির মতো নিজের চোখ দুটোকে কান্নায় ভিজিয়েছেন, কখনো কি ঝর্ণার মতো নিজের চোখ দুটোকে ভাসিয়েছেন? যদি প্রশ্নের উত্তরটি না হয়, তাহলে বলবো আপনি কখনো নিজেকে হালকা করতে পারেন নাই।
আমি পারি, যখনই প্রচন্ড মন খারাপ হয়, বৃস্টির মতো দুচোখ দিয়ে জল পড়তে থাকে, ঝর্ণার মতো হৃদয়ের ভেতরে থাকা ক্ষতগুলোকে টেনে টেনে বের করে দেই। কখনো সুযোগ পেলে চেষ্টা করে দেখবেন, নিজের কাছে নিজেকে কতটা হালকা মনে হয়, দুঃখগুলো মনে হয় নিমিষেই হৃদয় হতে হারিয়ে যায়। সত্যি বলছি মাঝে মাঝে অজোরে কান্না করবেন, দেখবেন কান্নার সাথে যন্ত্রণাগুলো ভেসে যাবে। শুনেন শুনেন সকলের সামনে কিন্তু কান্না করবেন না, বড় হয়েছেন না, হি হি হি।
যাইহোক মূল প্রসঙ্গে ফিরে আসছি, আজকে দারুণ স্বাদের পিঁয়াজু রেসিপি শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। অবশ্য রেসিপিটি অনেক আগেই তৈরী করা হয়েছিলো কিন্তু শেয়ার করা হয় নাই। তবে যেই সেই পিঁয়াজু রেসিপি না, হুম এটা হলো চিকেন পিঁয়াজু রেসিপি। পিঁয়াজু বিকালের নাস্তা হিসেবে দারুণ লাগে খেতে, অবশ্য আমি ভাতের সাথেও খাই। চলুন তাহলে রেসিপিটি দেখি-
প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহঃ
- চিকেন
- পেঁয়াজ
- মসুর ডাল
- কাঁচা মচির
- ধনিয়া পাতা
- হলুদ গুড়া
- মরিচ গুড়া
- আদা রসুন পেষ্ট
- গমর মসলা পেষ্ট
- লবন
- তেল
প্রস্তুত প্রণালীঃ
কিছু সময়ের জন্য মসুর ডাল ভিজিয়ে রেখেছিলাম যাতে পেষ্ট করতে সহজ হবে, কিছুটা সময় মসুর ডাল ভিজিয়ে রাখতে তা কিছুটা নরম হয়ে আসে। তারপর সেগুলোকে সুন্দর করে পেষ্ট করে নিয়েছি।
এরপর হলুদ, আদা রসুন ও লবন দিয়ে চিকেন সিদ্ধ করে নিয়েছি। সিদ্ধ হয়ে যাওয়ার পর সেগুলোকে ছোট ছোট টুকরা করে নিয়েছি পিঁয়াজুর জন্য।
তারপর একটা প্লেটে পেষ্ট করা মসুর ডাল নিয়ে তার সাথে সকল মসলাগুলো নিয়েছি এবং তার সাথে পেঁয়াজ কুচি ও কাঁচা মরিচ কুচি নিয়েছি।
তারপর সিদ্ধ করা চিকেন এবং ধনিয়া পাতা কুচি নিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছি।
একটা প্যান চুলায় বসিয়ে তাতে তেল দিয়ে গরম করেছি এবং সেখান হতে হাতে অল্প অল্প করে নিয়ে কিছুটা চ্যাপ্টা করে তেলে ছেড়েছি।
বাদামী রং এর হওয়ার আগ পর্যন্ত উভয় পিঠ ভালোভাবে ভেজে নিয়েছি, তারপর সেগুলোকে নামিয়ে একটি পাত্রে নিয়েছি।
ব্যস হয়ে গেলো আমাদের স্বাদের স্পাইসি চিকেন পিঁয়াজু। এমনিতে হয়তো সবাই খেসারি ডাল দিয়ে পিঁয়াজু খেয়ে থাকেন, তবে চিকেন দিয়ে মসুর ডালের পিঁয়াজু খেতে বেশ লাগে। আমার কাছে সত্যি খেতে দারুণ লেগেছিলো।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
আপনার বৈশিষ্ট্যগুলো আপনার সাথে চরম ভাবে মিশে গেছে আজ ও আগামীর জন্য শুনে ভালোই লাগলো।আমার মন খারাপ হলে আমি বাথরুমে গিয়ে খুবই চিৎকার করে কাঁদি এরপর খুব সুন্দর করে চোখে মুখে পানি দিয়ে ঘরের দরজাটা খুলে হাসি মুখে বের হই।খুব বেশিক্ষণ গোমরা মুখে থাকতে পারিনা।অনেক আগেই দীর্ঘদিন প্রায় নীরব নিশ্চুপ ছিলাম।আর এখন নিজের সাথে নিজে খুব চরমভাবে হাসিমুখে অভিনয় করে চলেছি চলবো।
ভাইয়া আপনার মুচমুচে চিকেন পিঁয়াজু রেসিপি |দেখে ভীষণ খেতে ইচ্ছে করছে কারণ পিয়াজু আমার খুব পছন্দের।♥♥
হৃদয়ে জমা কষ্ট গুলো যখন জমতে জমতে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ সৃষ্টি করে তখন বৃষ্টি ধারায় এই দুই চোখ ভিজে যায়। হয়তো হৃদয়ের কান্না গুলো হৃদয়ের মাঝে লুকিয়ে রয়। কিন্তু হৃদয়ের জমা কষ্টগুলোকে যদি প্রকাশ করা যায় তাহলে ভেতরটা অনেক হালকা হয়। আসলে আমরা পুরুষ। হয়তো কারো সামনে কাঁদতে পারি না। নিজের কষ্ট গুলোকে প্রকাশ করতে পারি না। কিন্তু নিজের কষ্ট গুলোকে ভিতরে চাপা না রেখে একলা নিরালায় কাঁদলে অনেকটা হালকা লাগে নিজেকে। তবে যাইহোক ভাইয়া মসুর ডাল দিয়ে চিকেন পিঁয়াজু রেসিপি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আপনি সবসময় মজার মজার রেসিপি শেয়ার করেন। তেমনি আজকেও অনেক মজার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো ভাইয়া। 💗💗
ভাই অনেকবার এমন হয়েছে। আমি খুব আবেগী অল্পতেই চোখে পানি চলে আসে। মাঝে মাঝে তো মুভি দেখেও চোখের পানি ঝরনণার পানির মতো গড়িয়ে পড়েছে। তবে আমি বড় হওয়ার পর সাউন্ড করে কাদি নাই।
যাইহোক, আপনার আজকের মুচমুচে চিকেন পিঁয়াজু রেসিপি দেখে লোভ সামলানো দায়। পিঁয়াজু আমি প্রায়ই খাই তবে বাইরে বেশি খাওয়া হয়। আপনি খুব সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে আপনার মুচমুচে চিকেন পিঁয়াজু রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আমিও তৈরির চেষ্টা করবো। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য। ❣️❣️
ভাইয়া খুব জানতে ইচ্ছে করে আপনি পারেন না এমন কোন কিছু আছে নাকি। আবার মাঝে মাঝে অবাক করার মত কিছু উপহার দিয়ে থাকেন। যেমন আছে চিকেন টিক্কা থেকে চিকেন পেয়াজুতে নিয়ে আসছেন। দেখে বেশ দারুন উপভোগ করলাম। তবে আমি আশ্চর্য হয়ে গেলাম একটা বিষয় নিয়ে। যেটা হচ্ছে কারো সাথে মনোমালিন্য অথবা মন খারাপ হলে আপনি একদম বিচ্ছিন্ন থাকতে থাকেন। ঠিক তেমনি আমারও একই অবস্থা কারো সাথে আমার মনোমালিন্য হলে আমি তার ছায়া পর্যন্ত পাড়াতে রাজি নয়। তবে আপনার সাথে আবার একটু অমিল আছে। আর সেটা হচ্ছে আমার যত দুঃখ কষ্ট হোক না কেন আমার চোখ দিয়ে পানি আসে না। জানিনা হৃদয়টা কেন এতো পাথর হয়ে গেল। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমি মানুষকে ভালবাসতে জানিনা। সহযোগিতা করতে জানি না, বা দানশীল নয়, এরকম কোন কিছুই নয়। কিন্তু চোখের পানি আমার একেবারে হারিয়ে গেছে। আমাদের সাথে এত সুন্দর চিকেন পেঁয়াজের রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য, আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।
শুধু একবার না ভাইয়া বহুবার বৃষ্টির মত চোখ দিয়ে বর্ষার বর্ষণের মত জল পড়েছে। সেটা হয়েছে দুঃখে আবার হয়েছে সুখে ও।
ভাইয়া আপনি খুবই লোভনীয় মুচমুচে চিকেন পিয়াজু রেসিপি শেয়ার করেছেন। আমার তো দেখে খুব খেতে ইচ্ছা করছে। মনে হচ্ছে খেতে অসম্ভব ভালো হয়েছে ভাইয়া। বৃষ্টির সময় এমন মুচমুচে চিকেন পিয়াজু ঘরে বসে বসে খেতে এবং বাহিরের বৃষ্টি দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া মজাদার লোভনীয় রেসিপিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আসলে আমিও আপনার মত, যখন রাগ করো তখন কারো সাথে কথা বলতে ভালো লাগে না। এমনকি বলতে গেলে কোন কথা মুখ দিয়ে বের হয় না। আজকের রেসিপি টা পুরা একদম অসাধারণ লেগেছে। দেখছি সব সময় ইউনিক রেসিপি তৈরি করতেছেন। আমার কাছে কিন্তু বেশ ভালো লেগেছে। এরকম অসাধারণ একটি রেসিপি তৈরি করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আসলে ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন, আমাদের প্রত্যেকের জীবনে কোনো না কোনো কষ্ট রয়েছে। আর এই কষ্ট গুলো বুকের মধ্যে চাপিয়ে রাখতে রাখতে আরো বেশি যেন কষ্ট পাওয়া হয়। তাই এই কষ্ট গুলো দূর করতে অঝোরে কান্না করে চোখ দিয়ে পানি বের করে দিলে মনটা অনেক হালকা হয়। তবে হ্যাঁ আপনি ঠিকই বলেছেন অনেক বড় হয়ে গেছি লুকিয়ে কাঁদতে হবে। মানুষের সামনে কান্না করা যাবে না, যাইহোক ভাইয়া আজকে আপনার চিকেন পিঁয়াজু রেসিপি দেখে সত্যিই অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন, আপনার রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। অনেক ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
দিলেন তো সকাল সকাল জিভের অবস্থা খারাপ করে।
এমনি পিয়াজুর লোভই সামলাতে হিমসিম খাই আর তার উপর আবার চিকেন পিয়াজু😵।নিশ্চয় খুব ভালো হয়েছিল খেতে!!
আপনার রেসিপি অলয়েজই সেরা।এবারেও তাই।ভালোবাসা নিয়েন ভাই 💚
আপনি একদম ঠিক বলেছেন বিকেলবেলা নাস্তা হিসাবে পিয়াজু অসাধারণ লাগে খেতে।আর আমি পান্তা ভাত দিয়ে খেতে আর ও বেশি পছন্দ করে থাকি।আপনার এই কথার সাথে আমি ও পুরোপুরিভাবে একমত।
তবে আপনার পিয়াজুর কালার দেখে খেতে মন চাচ্ছে।জাষ্ট ইউনিক।
হোটেলের চিকেন পিয়াজু অনেক খাওয়া হয়েছে তবে বাড়িতে কখনো চেষ্টা করে দেখা হয়নি। এত সহজে এটা তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছে এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। এর পরে আর এই স্বাদ মিস করবো না।