একটি বিড়ালের ফটোগ্রাফি
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। আজকে আমি আপনাদের দেখাতে চলেছি একটি বিড়ালের বেশ কিছু চিত্র। মনে করি, বিড়ালের সুন্দর এই চিত্রগুলো আপনাদের অনেক অনেক ভাল লাগবে।।
বেশ কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করছি একটি বিড়ালকে। বিড়ালটা প্রায় আমাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করে। এই বিড়ালটা ছাড়াও আরো কিছু বিড়াল আমাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করে। আমরা নির্দিষ্টভাবে কোন বিড়াল পুষি না। এরা আসা-যাওয়া করে মাঝেমধ্যে এটা সেটা আমাদের কাছ থেকে খাওয়া পায়। এই বিড়ালটা বেশ কিছুদিন একটু বেশি ঘুরাঘুরি করছে এবং আমাদের বাড়িতে অবস্থান করছে। কিছুদিন আগে আমি যখন উঠানে চেয়ারে বসে ছিলাম। লক্ষ্য করে দেখলাম ঘরের চালের উপরে বিড়াল শুয়ে ছিল, উঠে বসলো। তখন আমি তার ফটো ধারণ করার জন্য রেডি হলাম। তার বসে থাকা দেখতে ভালো লাগছিল। ঘুম থেকে উঠেছে তাই মানুষের মতো করেই আলিশী ভাঙসে।
বিড়ালটার আলিশি ভাঙা দেখতে খুব ভালো লাগছিল। কখনো সে হা করে হাই তুলছে। কখনো হাত-পা লম্বা করে পিঠ টান টান করে গরু-ছাগলের মতো করে আলিশি ভাঙছে। মনে হচ্ছিল সে রাতের বেলা সেভাবে ঘুমাতে পারেনি তাই দিনের বেলায় ঘরের চালের উপর শান্তিতে ঘুম দিয়ে উঠলো। আমি চেষ্টা করলাম আরো সুন্দরভাবে তাকে কিছু ফটো ধারণ করি। কিন্তু অচেনা বিড়াল, মানুষ থেকে একটু দূরে দূরে চলার চেষ্টা করে। তাই আমার ফটো ধারণ করতে দেখেও সরে গেল। আমি ভাবলাম আরো কিছু ফটো ধারণ করলে ভালো লাগবে। তাই আমি তার পিছু ছাড়লাম না।
এরপর সে ঘরের চাল থেকে লাফ দিয়ে রান্না ঘরের চালের উপর দাঁড়ালো। তখন আবারো আমি তার ফটো ধারণ করার চেষ্টা করতে থাকলাম। বিড়ালটা হয়তো ভাবছিল, হলোটা কি। শান্তিতে ঘুম থেকে উঠতে না উঠতেই মানুষের উৎপাত। কিন্তু আমি তো তার সুন্দর সুন্দর ফটো ধারণ করছিলাম। তাকে মারার চিন্তা করলে তো কখন ঢিল মেরে দিতাম। আর আমি কি ঢিল মারা মানুষ, তার এত ভয় পেতে হবে। অতঃপর সে বাথরুমের ছাদের উপরে বসে থাকলো। আমি তখনো ফটো ধারণ করতে রেডি ছিলাম।
এরপর সে আমাকে লক্ষ্য করে দৌড়ে পালিয়ে যেতে থাকলো রান্না ঘরের উপর দিয়ে। আমি আবারো থেমে গেলাম। ভাবলাম আরো কিছু ফটো ধারণ করবো। কেন জানি পশু পাখির ফটো ধারণ করতে ভালো লাগে। মাঝেমধ্যে ছোট মন-মানসিকতা হয়ে ওঠে এদের সাথে আনন্দ করতে গিয়ে। তাই বেশ আনন্দ উপভোগ করছিলাম ফটো ধারণ করতে গিয়ে। অতঃপর বিড়ালটা রান্নাঘর থেকে নেমে পাঁচিলের পাশে একটি বাঁশ বাধা রয়েছে তার উপর আসলো। ততক্ষণে আমি বুঝতে পারলাম সে পাঁচিল টপকে গিয়ে বাইরে চলে যাবে। তখন আমার খুব খারাপ লাগছিল। ভাবছিলাম সে যদি না চলে যায় তাহলে ভালো লাগবে। কিন্তু বিড়ালটা হার বেশি দেরি করলো না। এরপর সে পাঁচিল টপকে বাইরে চলে গেল। আর এভাবেই কিছুটা সময়ের আনন্দ শেষ হয়ে গেল।
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
বিষয় | বিড়ালের ফটোগ্রাফি |
---|---|
What3words Location | Gangni-Meherpur |
মোবাইল | Huawei P30 Pro-40mp |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর নার্সিং কোর্স করে বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
X--promotion
বিড়াল আমাদের পোষা প্রাণী। আমাদের বাড়িতে বিড়াল পালন করলে অনেক উপকার হয়। আপনার বিড়ালের ফটোগ্রাফি দেখে অনেক ভালো লাগলো। বিড়ালটি দেখতে বেশ কিউট লেগেছে। ধন্যবাদ আপু বিড়ালের সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপনি।
বিড়ালটি একদম কিউটের ডিব্বা। দেখতে খুব সুন্দর লাগছে বিড়ালটাকে। আমাদের গ্রামের বাড়িতেও এরকম একটা পোষা বিড়াল আছে।ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর বিড়ালের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
এই বিড়ালটা আমাদের বাড়িতে এমনিতে আসে।
বিড়াল দেখতে আমার কাছে সব সময় ভীষণ ভালো লাগে।তবে এভরকম সাদা বিড়াল গুলো দেখতে বেশ কিউট লাগে। আপনার তোলা বিড়ালের ফটোগ্রাফি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে।খুবই সুন্দরভাবে বিড়ালের ফটোগ্রাফির বর্ণনা উপস্থাপনা করছেন।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
বেশ কয়েক রকমের বিড়াল আমাদের বাসায় আসে।
আপু আপনার তোলা বিড়ালের ফটোগ্রাফি পোস্টটি খুব ভালো লাগলো।আসলে যেকোনো ফটোগ্রাফি করতে দক্ষতার প্রয়োজন ।রাইট অ্যাঙ্গেল থেকে ফটোগ্রাফি না করলে ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে ভালো লাগেনা।অনেকটা সুন্দর করে বিড়ালের ফটোগ্রাফির বর্ণনা দিয়েছেন। বিড়ালের ফটোগ্রাফি জাস্ট অসাধারণ লাগছে দেখতে।ধন্যবাদ আপনাকে আপু সুন্দর এই বিড়ালের ফটোগ্রাফি পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
তা অবশ্য ঠিক বলেছেন
প্রথমেই বলি বিড়ালটি অপূর্ব দেখতে। আমিও ছোটবেলা থেকে বিড়াল খুব ভালোবাসি তবে আমাদের বাড়িতে অনেকগুলো বেড়াল ছিল। তাই বেড়ালের এই অঙ্গভঙ্গি গুলো আমার কাছে খুবই পরিচিত। আসলে জানেন তো বিড়াল সম্ভবত দিনে ১৭ থেকে ১৮ ঘন্টা ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয়। আর সেই জন্যই যখনই ঘুম ভাঙ্গে তখনই আড়মোড়া ভাঙ্গে। আপনি বেশ সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন বেড়ালের কর্মকাণ্ডগুলো। হা হা হা।
আমি কেন জানি পশু পাখি একটু বেশি পছন্দ করি।
আপু আপনি অনেক সুন্দর করে বিড়াল এর ছবি তুলেছেন। ছবি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে, আসলে বিড়াল দেখতেই অনেক কিউট হয়।
আমাদের বাড়িতে ৩ টা বিড়াল। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আমাদের নেই কিন্তু এমনিতে পাড়া থেকে আসে।
বিড়াল আমার পছন্দের প্রাণী। আমার বাসার আশেপাশেও বেশ কিছু বিড়াল রয়েছে। তবে আমাদের বাসায় আসার তেমন সুযোগ নেই তাদের। আমার এক আত্মীয় বেশ কিছু বিড়াল লালন পালন করে এবং আমিও মাঝেমধ্যে ওদের ছবি তুলতে ভীষণ পছন্দ করি। আপনার আজকের ছবিগুলো আমার কাছে দুর্দান্ত লেগেছে। বিশেষ করে বিড়ালটির আলসে ভঙ্গিমা আমার দারুন লেগেছে।
আমারও অনেক প্রিয়।
আজকের কাজ সম্পন্ন
পোষা প্রাণী গুলোর মধ্যে বিড়াল সবারই খুব পছন্দ। আপনি খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছেন বিড়ালের। বিড়াল টা দেখতেও বেশ কিউট লাগছে। ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। সুন্দর এই ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আমারও অনেক ভালো লাগে